সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৭-২৫ ২৩:২১:৫১
যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা :: খুনের দায়ে চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাদক ব্যাবসায়ীকে ৬১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি অাদালত।
গত বছর ১৩ মে সংঘটিত টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্রমলী-বাই-বো এরিয়ার ব্রেন্টন রুপার হত্যা মামলার শুনানী শেষে একই এলাকার এ্যারো রোডের ড্রাগ ডিলার মোহাম্মদ সাইদ (২৭) ও তার সহযোগীদেরকে গত ১৩ জুলাই ওল্ড বেইলির বিচারিক আদালত দোষী সাব্যস্ত করেন। গত সোমবার তাদেরকে সর্বমোট ৬১ বছরের সাজা প্রদান করেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাতাশ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ সাঈকে ৩০ বছর, সাতাশ বছর বয়স্ক মনজুর আহমদকে ৯ বছর, আটাশ বছর বয়স্ক ফয়জুর রহমানকে ১০ বছর এবং আটাশ বছর বয়স্ক শাহ হাবিবুর রহমানকে ১২ বছরের কারাদন্ড দেন অাদালত।
অাদালত সুত্র জানায়, ব্রমলী বাই বো’র এগলিং ক্লোজের ৪১ বছর বয়স্ক ব্রেন্টন রুপারের অপরাধ ছিল, বাসার সামনে অবৈধ ড্রাগ ডিলিং এর প্রতিবাদ জানানো। আর এ কারণেই ড্রাগ ডিলার মোহাম্মদ সাঈদ ও তার সহযোগীরা ২০১৭ সালের ১৩ই মে ব্রেন্টন রুপারকে পেছন থেকে গুলিবিদ্ধ করে এবং উপর্যুপরি পাঁচ বার ছুরিকাঘাত করে তার বাসার সামনের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় । এক ঘন্টার মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে ছুরিকাহত ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এয়ার এম্বুলেন্সে প্যারামেডিক এসে ঘন্টাখানেক প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু সকল চেষ্টা ব্যর্থ হলে রুপার ঘটনাস্থলেই মারা যান৷
ঘটনার সাথে জড়িত মোহাম্মদ সাঈদ (২৭) বো এলাকার এ্যারো রোডের, ২৭ বছর বয়সী মানজুর আহমাদ মাইল্যান্ডের, ফয়জুর রহমান (২৮) স্টেপনি গ্রীনের এবং শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ড্যাগেনহামের বাসিন্দা ।
জানা যায়, রুপার হত্যাকাণ্ডের পরদিন মোহাম্মদ সাঈদ ও শাহ হাবিবুর রহমান ব্রিটেনের বাইরে চলে গিয়েছিল। তবে পুলিশ সাঈদ, মনজুর ও ফয়জুরকে ব্রেন্টন হত্যায় জড়িত হিসেবে ২০১৭ সালের ২৪শে জুন গ্রেফতার করে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত শাহ হাবিবুর রহমানকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত উল্লেখিত চার জনের বিরুদ্ধে ব্রেন্টন রুপার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হয়।
ইনভেস্টিগেশন অফিসার ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ডেন রুপার হত্যাকাণ্ডকে আবাসিক এলাকায় দিনের আলোতে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা এক নির্লজ্জ আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ জুলাই ২০১৮/মুআচৌ/পিডি