আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ম্যানিটোবা আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কানাডা শাখার সম্মিলিত উদ্যোগে কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের উইনিপেগ শহরে ভাষা শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথমেই চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে সকলে শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে কানাডা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পূজন দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ম্যানিটোবা আওয়ামীলীগ ও কানাডা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তব্যে ম্যানিটোবা আওয়ামীলীগের সদস্য আলিফ রেজওয়ান এবং ইরফানুল হক ভাষা দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব উপস্থিত প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরেন।
ম্যানিটোবা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান সজল তার বক্তব্যে বাংলাদেশীদের মাতৃভাষা ভাষা ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয়ভাবে একটি বইমেলা আয়োজনে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হুরায়রা আশিক তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি ছাত্রলীগ এর ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ব্যাপারে প্রবাসীদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ম্যানিটোবা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সরোয়ার মিয়া একুশের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের সারথি হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন- বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা সমার্থক শব্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি ম্যনিটোবায় আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে দ্রুত আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের জন্য কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কানাডা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তিহামী আহমদ তিহাম বলেন- ছাত্রলীগের তরুণ নেতৃত্ব সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে এবং ইতিবাচক কাজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে ও যাবে ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের রাজিব চন্দ্র সূত্রধর, আসাদুজ্জামান ফরহাদ, রবিউল হিমু, আন নাফে হোসেন, কাজি আব্দুল আজিজ, আরাফাতুর রহমান, জয়নাল আবেদীন তিব্র, শাহ মোহাম্মদ রাজ, কামরুল হাসান, ইয়ামিনুল ইসলাম, আনজান হামিদ, সাব্বির আহমদ তায়েফ, হুমায়ুন কবির সৈকত, আরিফুর রহমান, ফাহাদ চৌধুরী, রিয়াসাত জামান, আরশাদ খান, দিবাকর দেবনাথ, আজিজুল হকসহ আরও অনেকে।