সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-০৪ ০১:১১:০৬
২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে প্রথমে তিন মাসের ও পরে আরো দুই মাস সময় বৃদ্ধি করে মোট ৫ মাসের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছিল আরব আমিরাত সরকার। "বৈধতা নিশ্চিত করে নিজেকে সুরক্ষিত করুন" এই স্লোগানে ঘোষিত সময়ের মাঝে অবৈধ প্রবাসীরা চাইলে নামমাত্র ফি দিয়ে তাদের কাগজপত্র বৈধ করা অথবা কোনো জেল-জরিমানা ছাড়াই আমিরাত ছাড়ার সুযোগ ছিল।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী পাসপোর্ট জটিলতার সমাধান পেয়েছেন। দূতাবাস মাধ্যম এই তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কতজন প্রবাসী ভিসা লাগাতে পেরেছেন বা সাধারণ ক্ষমায় কতজন দেশে গেছেন তার কোন হিসেব পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে যারা ছয় মাসের জব সিকার ভিসা সংগ্রহ করেছেন তাদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজের সন্ধান করে ভিসা লাগানোর আহবান জানাচ্ছে আমিরাত সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি) স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে জব সিকার ভিসা কেবলমাত্র কাজের সন্ধান করে বৈধতার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ভিসা দিয়ে কাজ করা যাবে না। জব সিকার ভিসা সংগ্রহকারীদের কেউ যদি নতুন ভিসা না লাগিয়ে কাজ করে আর প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হোন তাহলে তাকে ৫০ হাজার দিরহাম জরিমানা দিতে হবে। একই ব্যক্তি নতুন ভিসা না লাগিয়ে দ্বিতীয়বার ধরা পড়েন তাহলে জরিমানা তা ১ লাখ দিরহামে গিয়ে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয় তাকে আমিরাতে আজীবন নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
৬ মাসের মধ্যে যদি নতুন কাজের সন্ধান না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই দেশে চলে যেতে হবে। পরবর্তীতে চাইলে কোন রকম সমস্যা ছাড়াই ভিজিট ভিসায় আসতে পারবেন। জব সিকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সময় বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। জব সিকারের নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যে নতুন ভিসা না লাগিয়ে দেশটিতে অবস্থান করলে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।