সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-০৭ ১৩:৪৫:৩২
ইদ্রিছ আলী, মালয়েশিয়া থেকে ফিরে :: বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে পাড়ি জমাচ্ছে। কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা সুনামের সাথে ডিগ্রী অর্জন করছে। তবে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেল শিক্ষার্থীদের মুখরােচক পদচারণা।বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় ওআইসির প্রতিনিধিত্বও রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনির্ভার্সিটি মালয়েশিয়া নামের এ প্রতিষ্ঠান ১৯৮৩ সালের ২৩মে মাত্র ১৫৩ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।বর্তমানে প্রতিবছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। অন্যান্য দেশের মতাে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভর্তিও পিছিয়ে নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬৫ হাজার ৩৩০ জন গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সফলতার কোর্স সম্পন্ন করেছে। যার মধ্যে ৫৫ হাজার ১৩০ জন মালয়েশিয়ার এবং ১০ হাজার ২০০ জন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থী।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহর থেকে ২৫ কিলােমিটার দূরে গোম্বাক নামক স্থানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। রাজধানী থেকে রেলপথে এর দূরত্ব ১৫ মিনিটের।প্রায় ৭০০ একর জায়গা নিয়ে এর ক্যাম্পাস।বিশাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে মসজিদ, যেখানে প্রায় কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী নামাজ পড়তে পারেন। পাশেই বিশাল গ্রন্থাগার।
বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীর মিলনমেলা ঘটে এখানে। জানা গেছে, নিরিবিলি পরিবেশে পড়াশােনার জন্য মালয়েশিয়ার একটি অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। সেখানে রয়েছে অলিম্পিক আকারের সুইমিংপুল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ২৪ ঘণ্টা মেডিকাল কমপ্লেক্স, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, রেস্টুরেন্ট, বই এর দোকান ইত্যাদি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জনায়, বর্তমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭শ'র মতো। তারা সেখানে অনার্স, মাস্টার্স এবং পি,এইচ,ডি ডিগ্রী করছেন। প্রতি সেমিস্টারে বাংলাদেশির সংখ্যা ৮০ থেকে ৯০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি, ভারতীয়, আরবী, মালয়ী ও ইন্দোনেশিয়ান খাবার রয়েছে। এছাড়াও সেখানে ছাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধ্যেই আলাদা মহল্লা আছে, যেখানে তারা নিরাপদে লেখাপড়া করতে পারে। তাই তাদের অনেকটা প্রথম পছন্দ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থী থাকলেও সিলেট বিভাগের মাত্র একজনকে খুঁজে পাওয়া যায়। তারেকুল ইসলাম মারুফ নামের এই শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
তিনি জানান, প্রথম ৬ মাস কেটে যায় ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় কোর্স ওয়ার্ক। বর্তমানে কোর্স ওয়ার্ক সম্পন্ন করে ইকোনমিকস এন্ড ম্যানেজমেন্ট সাইন্স এর অধিনে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস বিষয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফেলোশিপ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯/আর-৯/ডিজেএস