Sylhet View 24 PRINT

সিঙ্গাপুরে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার, প্রশংসায় ভাসছেন দুই বাংলাদেশী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৬ ০১:৩১:২৬

সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি :: বাংলাদেশে ময়লা স্তূপ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু উদ্ধারের খবর পত্রিকায় দেখেছিলাম। এবার সিঙ্গাপুরে এমন ঘটনার স্বাক্ষী হলো। গত ৭ই জানুয়ারি ২০২০ জনাব শামীম পাটোয়ারী ও মোস্তফা কামাল নামের দুই বাংলাদেশী ময়লা স্তূপ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে উদ্ধার করে আলোচনায় আসেন।

সিঙ্গাপুরের দৈনিক পত্রিকা থেকে জানতে পারি যে, গত ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বেদোক নর্থ স্ট্রিটের ব্লক ৫৩৪ এর কাছাকাছি থাকা ১ ময়লা ফেলার চেম্বার থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান শামীম পাটোয়ারী ও মোস্তফা কামাল। তখন তারা ময়লাবাহী গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

শামীম পাটোয়ারী ভেবেছিলেন যে তিনি হয়ত মনের ভুলে কোন কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন এবং তাঁর সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করলেন। মোস্তফা কামালও বলল, সেও কান্নার শব্দ শুনছে। তারা প্রথম ভেবেছিল এটি সম্ভবত একটি ফেলে দেওয়া খেলনা পুতুল যার ব্যাটারি এখনও চলছে। আজকাল বাজারে পুতুল কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো অবিকল শিশুর মতো কান্না করতে পারে।

তখন শামীম পাটোয়ারী গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি গাড়ি থামিয়ে মোস্তফা কামালকে ময়লাস্তূপ চেক করতে বললেন।

মোস্তফা কামাল নিচে নেমে বিনটি খুললে দেখেন একটি পুরনো সংবাদপত্রে মোড়ানো কিছু তিনি সংবাদপত্র সরিয়ে দেখেন নিচে সুপার মার্কেট প্লাস্টিকের ব্যাগ যা ভিজে ও রক্তাক্ত অবস্থায় আছে।তা দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।

তিনি বলেন, ব্যাগের ভেতর থেকে কাঁপা কাঁপা কান্নার শব্দ আসছিল যা দেখে আমরা ভয় পেয়ে যাই। তাই তারা সাথে সাথে তাদের সুপারভাইজারকে খবর দেন। সুপারভাইজার এলে তারা ব্যাগটি খুলেন। ব্যাগ খুলে তারা দেখতে পেলেন যে একটি নগ্ন পুরুষ শিশু তার শরীরে রক্তের দাগ।

সাথে সাথে তারা শিশুটিকে হাসপাত জন্য প্রথম এমডব্লিউসি প্রশংসা পুরষ্কার প্রদান করেছেন।পাশাপাশি দুজনকে ৫শ ডলারের ভাউচার প্রদান করেন।

মিঃ ইয়েও বলেছিলেন, পত্রিকায় তাদের মহৎ কাজ দেখে আমরা অনুপ্রানিত হয়েছি। তাই তাদের মহৎ কাজের স্বীকৃতি দিতেই আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা।

তিনি এসময় অন্যান্য উদাহরণের কথাও উল্লেখ করেছিলেন যেখানে অভিবাসী শ্রমিকরা অন্যদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

মিঃ ইয়েও বলেন, "এই জাতীয় কর্মকাণ্ড আমরা বাংলাদেশে ময়লা স্তূপ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু উদ্ধারের খবর পত্রিকায় দেখেছিলাম। এবার সিঙ্গাপুরে এমন ঘটনার স্বাক্ষী হলো। গত ৭ই জানুয়ারি ২০২০ জনাব শামীম পাটোয়ারী ও মোস্তফা কামাল নামের দুই বাংলাদেশী ময়লা স্তূপ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে উদ্ধার করে আলোচনায় আসেন।

সিঙ্গাপুরের দৈনিক পত্রিকা থেকে জানতে পারি যে, গত ৭ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বেদোক নর্থ স্ট্রিটের ব্লক ৫৩৪ এর কাছাকাছি থাকা ১ ময়লা ফেলার চেম্বার থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান শামীম পাটোয়ারী ও মোস্তফা কামাল। তখন তারা ময়লাবাহী গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

শামীম পাটোয়ারী ভেবেছিলেন যে তিনি হয়ত মনের ভুলে কোন কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন এবং তাঁর সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করলেন। মোস্তফা কামালও বলল, সেও কান্নার শব্দ শুনছে। তারা প্রথম ভেবেছিল এটি সম্ভবত একটি ফেলে দেওয়া খেলনা পুতুল যার ব্যাটারি এখনও চলছে। আজকাল বাজারে পুতুল কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো অবিকল শিশুর মতো কান্না করতে পারে।

তখন শামীম পাটোয়ারী গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি গাড়ি থামিয়ে মোস্তফা কামালকে ময়লাস্তূপ চেক করতে বললেন।

মোস্তফা কামাল নিচে নেমে বিনটি খুললে দেখেন একটি পুরনো সংবাদপত্রে মোড়ানো কিছু তিনি সংবাদপত্র সরিয়ে দেখেন নিচে সুপার মার্কেট প্লাস্টিকের ব্যাগ যা ভিজে ও রক্তাক্ত অবস্থায় আছে।তা দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।

তিনি বলেন, ব্যাগের ভেতর থেকে কাঁপা কাঁপা কান্নার শব্দ আসছিল যা দেখে আমরা ভয় পেয়ে যাই। তাই তারা সাথে সাথে তাদের সুপারভাইজারকে খবর দেন। সুপারভাইজার এলে তারা ব্যাগটি খুলেন। ব্যাগ খুলে তারা দেখতে পেলেন যে একটি নগ্ন পুরুষ শিশু তার শরীরে রক্তের দাগ।

সাথে সাথে তারা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আর সে খবর তৎক্ষনাৎ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় পত্রিকায় নিউজ হয়। সিঙ্গাপুরিয়রা তাদের এই মহৎ কাজের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন।

অভিবাসী শ্রমিক কেন্দ্রের (এমডাব্লুসি) চেয়ারম্যান মিঃ ইয়ে গুয়াত কাওয়াং দুই বাংলাদেশির জন্য প্রথম এমডব্লিউসি প্রশংসা পুরষ্কার প্রদান করেছেন।পাশাপাশি দুজনকে ৫শ ডলারের ভাউচার প্রদান করেন।

মিঃ ইয়েও বলেছিলেন, পত্রিকায় তাদের মহৎ কাজ দেখে আমরা অনুপ্রানিত হয়েছি। তাই তাদের মহৎ কাজের স্বীকৃতি দিতেই আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা।

তিনি এসময় অন্যান্য উদাহরণের কথাও উল্লেখ করেছিলেন যেখানে অভিবাসী শ্রমিকরা অন্যদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

মিঃ ইয়েও বলেন, "এই জাতীয় কর্মকাণ্ড আমরা দেখতে চাই না।ময়লাস্তূপে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে ফেলা যাওয়া সত্যিই অমানবিক। আমরা অনুভব করি যে এই পুরষ্কারের উদ্দেশ্য কেবল এইরকম মহৎ ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা নয়, অন্যকেও ভালো কাজ অনুকরণে উদ্বুদ্ধ করা।

শামিম এবং মোস্তফা বলেন, তারা এই পুরষ্কারটি পেয়ে সম্মানিত হয়েছেন। শামীম বলেন, তিনি কিছু পাবার আশা করেননি এবং এমনকি তার পরিবারের সদস্যদেরও এই ঘটনার কথা জানাননি।

তারা আরো বলেন,"আমরা ভাল কিছু করেছি এবং একটি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছি। আমরা আশা করি এটি আরও বেশি লোককে প্রয়োজনে অন্যদের সহায়তা করতে উৎসাহিত করবে। আমি আনন্দিত যে আমর বাচ্চাটিকে রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু আমরা মনে করি যে, ভাগ্যই বাচ্চাটিকে বাঁচিয়েছিল কারণ অনেক সময় এত ময়লা জমা হয় যে তার কান্না শুনতে সম্ভব হতো না।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.