সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৫ ১৯:০১:৩৫
শাহাব উদ্দিন শিহাব, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া ::: অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত লাকেম্বা এলাকায় দুইজনসহ ১৬, ভিক্টোরিয়ায় ৮, কুইন্সল্যান্ডে ৩, ক্যনবেরায় ২, তাসমিনিয়ায় ২ ও ওয়েস্ট্রার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ৩ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৭৫ জন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই ক্রুজ জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রী বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত লাকেম্বা এলাকায় করোনায় ২ জন আক্রান্তের খবরে চলছে শুনসান নিরবতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না বাসা-বাড়ি থেকে। অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা। দেশে আত্মিয়-স্বজনদের সাথে ফোনে কথা বলা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেটিং করে পার করছেন সময়। অনেকে আবার নিজ নিজ ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন। নামাজ-কালাম করে পার করছেন সময়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মহীন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কমিউনিটির নেতারা। তারা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়োয়া ছাত্রসহ কর্মহীন মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ রুবি প্রিন্সেস ফাইস্কো নিয়ে অপরাধ তদন্ত শুরু করেছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ কমিশনার মিক ফুলার রবিবার নিশ্চিত করেছেন যে রুবি প্রিন্সেসের হতাশার বিষয়ে একটি অপরাধমূলক তদন্ত হবে। তিনি জানান, এতে জড়িত প্রতিটি এজেন্সির কার্যক্রম এবং ক্রুজ শিপ অপারেটরের দিকে নজর রাখবে।
ফুলার বলেন, “কোভিড -১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের যে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে তার স্পষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। কি কারনে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া নামিয়ে আনা হলো তারও বিস্তর তদন্ত করবে পুলিশ। অস্ট্রেলিয়ায় আসা ক্রুজ জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রীরা সকলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলেও নিশ্চিত হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ। এই জাহাজের অন্তত ১০ জন যাত্রী এ পর্যন্ত মারা গেছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের শীর্ষ এই কর্মকর্তা আরো জানান, আমাদের জাতীয় বায়োসিকিউরিটি আইন এবং আমাদের রাষ্ট্রিয় আইন এই জাহাজটি ভেঙেছিল কিনা তারও তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে জেমস কোয়ান পার্থ নামের ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি কোভিড-১৯ সনাক্ত হওয়ার পর মারা যান। ৭৮ বছর বয়সী পার্থ ছিলেন ফেব্রুয়ারিতে জাপানের বন্দরের যোকোহামায় পৃথকীকরণ করতে বাধ্য করা ক্রুজ জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রী।
এরপর ২৬ মার্চ ড্যানিয়েলস নামের অপর এক মহিলা কোভিড-১৯ সনাক্তকরণের পরে জোন্ডালাপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। মারা যাওয়া ঐ মহিলা ফেব্রয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে সিডনিতে সেলিব্রেটি সল্টিস ক্রুজ জাহাজ থেকে নামেন।
সর্বশেষ ৩ এপ্রিল এক জার্মান পর্যটক মারা যান। ৭০ বছর বয়সী ঐ ব্যাক্তি আর্টানিয়া ক্রুজ জাহাজে যাত্রী ছিলেন এবং এক সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৫ এপ্রিল ২০২০/এসএইচ