আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
শাহাব উদ্দিন শিহাব, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া ::: অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ১১৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯০৮ জন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি মারা যান। তিনি রয়েল অ্যাডিলেড হাসপাতাল চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আক্রান্তদের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসে ২,৬৮৬, ভিক্টোরিয়ায় ১,১৯১, কুইন্সল্যান্ডে ৯৩৪, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ৪৭০, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ৪১৫, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরিতে ৯৭, তাসমানিয়ায় ৮৮, এবং উত্তর অঞ্চলটিতে ২৭ জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরীকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন। বিশেষত ইস্টার সানডেসহ দীর্ঘ সরকারী ছুটিতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমন সঙ্কায় তিনি নাগরিকদের দূরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখছি, অস্ট্রেলিয়া সে দিক থেকে ভাল রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী সংক্রমন বৃদ্ধিতে পরিবেশ গতভাবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সেরা স্থান। তার পরেও আমরা বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের পরিস্থিতি থেকে ভাল অবস্থানে আছি।
তিনি জানান, স্বাভাবিক জীবন পুনরূদ্ধার করতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার সরকার তার সব করবে। তবে তা নির্ভর করবে পরিবেশগত বিপর্যয় এবং প্রকোপগুলো সাপেক্ষে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য সরকার চীনের উহানের মতো জায়গাগুলিতে গভীর নজর রাখছে।
অর্থনীতিতে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দীর্ঘ ছয় মাস সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কিনা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, জবাবে মি. হান্ট জোর দিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নাগরীকদের জীবন রক্ষা করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৭ এপ্রিল ২০২০/এসএইচ