আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

শাবির লাইব্রেরিতে রাগীব আলীর বই, শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৬-১২-২০ ০০:০৭:০১

সিলেট :: সিলেটের আলোচিত শিল্পপতী রাগীব আলী। প্রতারণার মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে গড়ে তুলেছিলেন তার সাম্রাজ্য। মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতীর মাধ্যমেই তিনি এসব করেছিলেন। তবে সম্প্রতি উচ্চ আদালতের রায়ের ফলে তাকে ছাড়তে হয়েছে চা বাগান।

তাছাড়া আত্মসাৎ-জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে বর্তমানে কারান্তরিণ রয়েছেন। ইতিমধ্যে জালিয়াতী মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আলোচিত-সমালোচিত এই ব্যক্তি নিজের আত্মপ্রচারে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে- নিজের গুণকির্তন সম্বলীত বই প্রকাশ। এজন্য তিনি লেখকদের দিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকাও।

মামলায় কারাগারে থাকলেও 'মহাজালিয়াত' খ্যাত রাগীব আলীর গুণকির্তন গাওয়া এসব বই এখনও শোভা পাচ্ছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরির শেলফে রাখা হয়েছে ‘রাগীব আলী’ শিরোনামের বইটি। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ভালো ভালো লেখকের বই থাকতে তার মত এমন বিতর্কিত ব্যক্তির বই কেন লাইব্রেরিতে রাখা হয়েছে এনিয়ে চলছে বিতর্ক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে লাইব্রেরি থেকে রাগীব আলীর বই সরানোর দাবি করেছেন। তাদের মতে রাগীব আলীর মত এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির বই পড়ে শেখার কিছুই নেই। অথচ শেলফে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে তার বই। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বইয়ের অভাব থাকা সত্ত্বেও এভাবে একজন বিতর্কিত লেখকের বই লাইব্রেরিতে রাখার কোন অর্থই হয় না বলে অভিমত তাদের।

এব্যাপারে শাবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা লাইব্রেরিতে গিয়ে একাডেমিক বই খুঁজে পাই না। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিনা প্রয়োজনে কিছু বই রেখেছে যা আমাদের কোন কাজেই আসে না। রাগীব আলীর মত এমন একজন দুর্নীতিবাজ ও বিতর্কিত ব্যক্তির বই আমাদের লাইব্রেরিতে রাখা কোনভাবেই সমীচিন নয়।

সমাজকর্ম বিভাগের ইফতেখার, রুবেল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাকিব, তন্ময়, লোক প্রশাসন বিভাগের হাসিনুর রহমান অবিলম্বে লাইব্রেরি থেকে রাগীব আলীর বই সরানোর দাবি করেছেন। তারা বলেন, রাগীব আলীর বইয়ে শিক্ষনীয় এমন কী বিষয় আছে যে তা লাইব্রেরিতে রাখতে হবে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। এমন বিতর্কিত লেখকের বই অবিলম্বে সরানো হোক।

এদিকে রাগীব আলীর বই কেন লাইব্রেরিতে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি লাইব্রেরিয়ান আবদুল হাই সামেনি।  এ বিষয়ে তিনি মুঠোফোনে কথা না বলে অফিসে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ডিসেম্বর২০১৬/ডেস্ক/এএএন

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন