পুঁজিবাজারে স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা

১৬ কার্যদিবসের মধ্যে ১৫ দিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের দুই পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে সূচক। বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৪২১ পয়েন্টে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সজেঞ্জে প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৭৪৯ পয়েন্টে।

গত ২৬ এপ্রিল থেকে টানা পতনের মুখে পুঁজিবাজার। ২০১০ সালের ধসের সময়ও যে চিত্র দেখা যায়নি, এবার দেখা গেছে তাই। টানা ১৩ কার্যদিবস পড়েছে সূচক। তবে চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ২২ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও স্বস্তি স্থায়ী হয়নি। কারণ, এর পরের দুই দিন আবার পড়েছে সূচক। প্রথম দিন ২১ এবং দ্বিতীয় দিন ৩০ পয়েন্ট পড়ে যায় সূচক।

তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সকালে লেনদেন শুরুর পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখি ছিল বাজার। শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে এই ধারা।
ডিএসইতে আজ ৪৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা কম। বুধবার ডিএসইতে ৪৮৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইএক্স সূচক ৬৮ পয়েন্টের পাশাপাশি শরিয়াহ সূচক ও ডিএসই ৩০ সূচকও বেড়েছে। শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। ডিএসই ৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে দুই হাজার ১৪ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির।

বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট এবং ডিএসই ৩০ সূচক দুই পয়েন্ট কমে।

ডিএসইতে আজ লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিলরি-রোলিং মিলস, ব্র্যাক ব্যাংক, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো এবং নাহি অ্যালুমিনিয়াম।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর।-ঢাকাটাইমস