আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘জাতীয় সংগীত’ নিয়ে নোবেলের মন্তব্যে যা বললেন জনপ্রিয় এই গায়িকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-০২ ১৭:০৭:৫২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ‘সা রে গা মা পা ২০১৯’-এ অংশ নিয়ে পুরো শোজুড়েই আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের ছেলে নোবেল। তবে এবার হলেন সমালোচিত।

এক লাইভ সাক্ষাৎকারে ‘জাতীয় সংগীত’কে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সেই সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ যতটা না দেশকে প্রকাশ করে তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি প্রকাশ করেছে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটি।

নোবেলের মন্তব্য শুনে অনেকেই তার ওপর অভিযোগ তুলেছেন- ‘জাতীয় সংগীত’কে অপমান করেছেন নোবেল।

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় চলছে। কোনো গানই জাতীয় সংগীতের সমতুল্য নয় বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন অনেকেই। তার বিচারও দাবি করেছেন কেউ কেউ।

নোবেলের এমন মন্তব্যে যখন উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া, তখনই বিতর্কের এ আগুনে ঘি ঢাললেন কলকাতার জনপ্রিয় গায়িকা ইমন চক্রবর্তী।

নোবেলের সাক্ষাৎকারটি দেখার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমন চক্রবর্তী।

এ রকম বিরূপ মন্তব্য করা নোবেলের মোটেই উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমে ইমন বলেন, ‘নোবেল যে শুধু বাংলাদেশকে অপমান করেছেন, জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছেন- এমন নয়; আমি মনে করি তিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক আত্মাভিমানে আঘাত করেছেন। একজন শিল্পী হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই গানের ভুবনে আছি। তবে এখনও ভুল করলে বড়রা শুধরে দেন আমাদের, শাসন করেন। এটিই নিয়ম। নোবেল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। তার ক্যারিয়ার শুরু হলো মাত্র। তাই শুরুতেই এ রকম বিরূপ মন্তব্য ওর করা উচিত হয়নি।’

দিদি হিসেবে, শিল্পী হিসেবে এবং সর্বোপরি একজন বাঙালি হিসেবে নোবেলের এই বিতর্কিত বিষয়ে নিজের মত জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘নোবেল নিজেকে যত দ্রুত শুধরে নিবে ততই ওর জন্যই ভালো’।

অবশ্য নোবেলকে নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক এটিই প্রথম নয়। এর আগেও গান গাওয়ার আগে গীতিকার ও সুরকারের নাম না বলায় বেশ নিন্দিত হয়েছিলেন নোবেল।

এ ছাড়া এক সাক্ষাৎকারে তারকা ব্যান্ডশিল্পী জেমসের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন নোবেল।

নোবেল দাবি করেছিলেন, জেমসের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় ‘পাগলা হাওয়া’ গানটি ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে গাওয়ার পরও প্রচার করা সম্ভব হয়নি। জেমসের ম্যানেজারই নাকি তাকে ফোন করে গানটি টেলিকাস্ট করতে নিষেধ করেন।

তবে নোবেলের সে দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সেই সাক্ষাৎকারের ঘটনাটি এবার সামনে এনে জেমসভক্তরা প্রশ্ন করছেন, পাগলা হাওয়া গানটি টেলিকাস্ট না করতে দিলে কোন বা কার অনুমতি নিয়ে নোবেল সেদিন জেমসের ‘বাংলাদেশ’, ‘বাবা’, ‘মা’ গানগুলো সা রে গা মা পা অনুষ্ঠানে গেয়েছেন?


সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০২ আগস্ট ২০১৯/গআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন