আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

আমি মানুষটাই তারছেঁড়া: নোবেল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১৮ ১৭:৩১:৪৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে তারছেঁড়া বলে উল্লেখ করলেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত বাংলাদেশি গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে যারা তাকে গালিগালাজ করেন, সমালোচনা করেন, তাদের মুখোমুখি, সামনে এসে মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখাতে বললেন। শনিবার রাতে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নোবেল।

স্ট্যাটাসে গায়ক লেখেন, ‘ব্যক্তি মাঈনুল আহসান নোবেল। নামটা আকীকা করে জন্মদাতা পিতা-মাতা রেখেছেন। তবে ‘নোবেল ম্যান’ অথবা আপনাদের আলোচিত-সমালোচিত, ভালোবাসার অথবা ঘৃণিত আজকের এই ‘সংগীতশিল্পী নোবেল’। এই নাম অথবা ব্যক্তিত্বের জন্মদাতা; পিতা বলেন, মাতা বলেন, ভাই অথবা বোন যাই বলেন, সব কিন্তু ‘আপনারা’ নিজেরাই। সুতরাং মা-বাপ তুলে গালাগালি, কটুকথা, বেশি কথা যাই বলছেন; আমি ব্যক্তি নোবেলের বিন্দুমাত্র গায়ে লাগছে না। তাতে আপনি নিজের সন্তানকেই গালাগাল করছেন বলে আমি মনে করি।’

এর পরই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নোবেল লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি মানুষটাই তারছেঁড়া। না হলে কী ১৬৫টি দেশের ২৫ কোটি বাঙালির তার ছিঁড়তে পেরেছি? তবে মুখোমুখি, সামনে এসে ব্যক্তি নোবেলের মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি। পরিণতির দায়ভার আমি নিতে পারবো না। ভালো থাকবেন। অনেক ভালোবাসা। ফি-আমানিল্লাহ্।’

এই পোস্টে নোবেল কী বলতে চেয়েছেন তা বুঝে গেছেন নেটিজেনরা। তাই গায়কের পোস্টটি তারা ইতিবাচক হিসেবে নেননি। যথারীতি এখানেও তাকে গালাগাল করেছেন বহু নেটিজেন। এর আগে চোখে মুখে মাস্ক পরে ছবি শেয়ার করার জন্যও তাকে একহাত নিয়েছিল নেটিজেনদের একাংশ।

প্রসঙ্গত, গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর থেকেই নোবেল যেন বিতর্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছেন। ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা একাধিক গান গেয়ে তিনি দর্শক ও বিচারকদের বাহবা পেলেও কোনো বারই নোবেল গানগুলোর শ্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদের নাম উল্লেখ করেননি। এ নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়ার পর ক্ষমা চেয়ে নেন নোবেল।

এই বিতর্ক শেষ না হতেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে তিনি ফের বিতর্কে জড়ান। একটি লাইভ সাক্ষাৎকারে হাজির হয়ে নোবেল মন্তব্য করেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানের চেয়ে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গান জাতীয় সংগীত হিসেবে ভালো। এই গানের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের আবেগ। এ নিয়ে দুই বাংলার মানুষের রোষের মুখে পড়েন নোবেল।

এরপর জাতীয় সংগীত বিতর্কের মধ্যেই সামনে আসে আরও একাধিক বিতর্ক। ‘সারেগামাপা’-এর শো চলাকালীন এক বিচারককে নাকি নোবেল বলেছিলেন, ‘তার গান বিচার করার ক্ষমতা ওই বিচারকের নেই। যার কারণে জি বাংলা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কিছুদিনের জন্য নোবেলকে সাসপেন্ড করে রাখে। শোয়ের বাকি প্রতিযোগীদের সঙ্গেও নাকি নোবেল বেশ নাকউঁচু ভাব নিয়ে চলতেন। এমনকী, বাংলাদেশের কোনো শিল্পীকেই তার যথাযোগ্য মনে হয় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

পাশাপাশি গত বছর দেশের জনপ্রিয় এক ইউটিউবারের সঙ্গেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর তর্কে জড়িয়ে পড়েন নোবেল। সে সময় ওই ইউটিউবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোবেলকে রাজধানীর মগবাজারে র‌্যাব অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিয়ে আসতে হয়। সেবার নোবেলকে শাসিয়ে ছেড়ে দেন র‌্যাব সদস্যরা। জানিয়ে দেন, আচরণ ঠিক না করলে ভবিষ্যতে তাকে বড় মাশুল দিতে হবে।

সৌজন্যে : ঢাকাটাইমস

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ-২৪

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন