আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মাদকাসক্ত নারী এখন জনপ্রিয় মডেল!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-০৬ ০০:২৬:২৪

লন্ডনের অধিবাসী লর্না টাকার নামে এক নারীর জীবন কাহিনী সত্যিই অদ্ভুত। তার জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেই আসে সফলতা। এক সময় ছিলেন স্টেশনের একজন ভিখারিনী। মাদকের অর্থ জোগাতে মানুষের কাছে অর্থ সহায়তা চাইতেন তিনি। আর আজ তিনি হয়ে উঠলেন সফল এক মডেল। এখন তার বয়স তিরিশের কোঠায়। তিন সন্তানের জননী তিনি। গত ৭ বছর ধরে সব ধরনের মাদক থেকে দূরে রয়েছেন। ইতিমধ্যে বিশ্বের বড় বড় কিছু মডেল কম্পানির সঙ্গে কাজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি পেশাদার ডকুমেন্টরি নির্মাতাও হয়ে উঠেছেন।

এখন তিনি এক অন্যরকম জীবন যাপন করছেন। তাই বলে পুরনো জীবনের কথা ভুলে যাননি। সেই ১৫ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। এই একটি ভুল সিদ্ধান্ত তাকে রাস্তায় নিয়ে ফেলে দেয়। হেরোইনে আসক্ত হয়ে যান। সফল ও অর্থশালী হওয়ার পর তিনি 'সেন্টারপয়েন্টস ইয়ং অ্যান্ড হোমলেস হেলপলাইন আপিল' এর মাধ্যমে একটি সেবামূলক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি যেমন ছিলেন, ঠিক তেমন মানুষের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি তিনি বললেন, নিজের ঘরহীন মানুষের জীবন চালানো খুব কঠিন ব্যাপার। অন্তত আমি সেই বিষয়টি বুঝি। আমি চাই অন্য মানুষরা এইসব গৃহহীন অসহায় মানুষের জীবনটা সহানুভূতির সঙ্গে অনুভব করুক।

লর্না জানান, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গ্রীষ্মের শেষদিকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ি আমি। আমি চারিং ক্রস টিউব স্টেশনে ভিক্ষা শুরু করি। সেখানেই একটি মডেলিং এজেন্সি আমাকে খুঁজে পায়। যখন তারা আমার সঙ্গে কথা বলে, তখন ভালোই লেগেছিল। বিষয়টি স্বপ্নের মতো লেগেছিল। তখনই প্রথম মনে হয়েছিল যে আমি কারো না কারো চোখে সুন্দর। কিন্তু আমার যা অবস্থা ছিল তার সঙ্গে নতুন জীবন মানানসই ছিল না। কিন্তু বিষয়টি গভীরভাবে আমার মনে গেঁথে যায়। ষোল বছরে পা দেওয়ার পর লর্না অনুভব করলেন, এভানে আর জীবন কাটানো যায় না। মাদক দিয়ে আর জীবন চলছে না। জীবনের চরম অবস্থা যাচ্ছে তার। আর তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর চিন্তা করলেন । সৌভাগ্যক্রমে সেই সময় তার পরিবার ও বন্ধুরা তাকে খুঁজে পান। তাদের সহায়তার জীবনটা বদলে ফেলার চেষ্টা করেন। মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যান এবং আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। এভাবেই নিজের জীবনকে বদলে নিলেন তিনি।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন