আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নরসুন্দর: সুন্দরের কারিগর!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-২৮ ১৪:১৩:৫৫

তামিমুল করিম হৃদয় ::  নরসুন্দর বা নাপিতদেরদের সমাজে আলাদা কদর সবসময় ছিল। এখনো আছে।

আগে প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে চুল-দাড়ি কামানো, নখ কাটার রেওয়াজ ছিল। এর বিনিময়ে টাকা বা হাদিয়া মিলত। ঈদ-পূজা-পার্বনে ধূতি, চাদর,পাঞ্জাবী ও নগদ টাকাও পেত তারা।

তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলেছে ধরণ-ধারণ বা রীতি। এখন নরসুন্দরদের সুন্দর জায়গাটি এসে দখল করেছে আধুনিক সেলুন বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জেন্টস পার্লার গুলো।

এইসব সেলুনে বডি ম্যাসেজ, স্পা থেকে শুরু করে ফ্রেশিয়াল, মেহেদী, কলপ, শ্যাম্পু করা হয়। বেশ ব্যয়বহুল বর্তমানের ঐসব আধুনিক পার্লার গুলো।

রক গায়কদের কিংবা রেসলারদের করে চুল কাটার স্টাইলের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাট জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

কখনো তেরেনাম, ব্যাকহাম, রোনালদো, নেইমার আবার কখনো ছোট ছোট চুল ফ্যাশন হয়ে আসে। দাড়িতে হরেক রকম ছাঁটই বলে দেয় পালটে গেছে আগেকার দিন।

বিয়েতে বরের চুল কাটাকে উপলক্ষ করে  চুল কাটার উৎসবে মেতে উঠে বাড়ির কিংবা পরিবারের সকলে।

বিশেষ করে মুসলিম পরিবারের বিয়েতে নাপিতকে বাড়িতে ডেকে এনে বরসহ বাড়ীর ছোট থেকে বড় সকলে একে একে লাইন ধরে চুল-দাড়ি কাটাতে থাকে।

শিশু জন্মের পর নরসুন্দরই চুল কেটে পরিচ্ছন্ন বা পবিত্র করেন নবজাতককে। আবার মৃত্যুশয্যায় থাকা ব্যাক্তির চুল নখ ছাঁটিয়ে পবিত্র করা হয় নসুন্দরকে দিয়েই।জন্ম এবং মৃত্যু উভয় সময়ে মানুষকে সুন্দর রাখতে নরসুন্দরের ভূমিকা সব থেকে বেশী।

"নরসুন্দর" নামের সৌন্দর্যরূপ উপভোগ করতে বার বারই ছুটে যেতে হয় এই নরসুন্দরদের কাছেই।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ নভেম্বর ২০১৭/টিকেআর/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন