আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমাদের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-০১ ২০:০৭:০৬

ছবি: লেখক

মেহের হোসেন জাকির :: কেমন আছেন সবাই? অবশ্যই ভালো তবে কিছুটা ক্লান্ত! বলছি সিলেট বিভাগের জয় বাংলা বলা মানুষের কথা।

গত ১৫-২০ দিন থেকে সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ (তৃনমূল থেকে কেন্দ্রীয়) পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সমাবেশ সফল করার জন্য।  আপনারা আমরা সবাই সফল কারন, মঙ্গলবারের (৩০শে জানুয়ারি ২০১৮ইং তারিখ সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার সমাবেশ জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

জয় বাংলা বলা মানুষগুলো সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা থেকে ছুটে এসেছিল প্রিয় নেতৃকে দূর থেকে হলেও একনজরে নেতীকে দেখার জন্য,সামন থেকে দাঁড়িয়ে নেত্রীর কথাগুলো নিজ কানে শোনার জন্য। সবাই উৎসাহিত ও উজ্জীবিত ছিলেন, কারন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর নির্বাচনী প্রচারণ যে সিলেট থেকেই শুরু। দেশরত্ন সিলেট আসবেন আর সিলেট বাসীর জন্য কোন উপহার নিয়ে আসবেন না তাতো হতে পারেনা!

আমরা সবাই জানি শেখ হাসিনা নিজে স্বপ্ন দেখেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখান এবং মানুষকে দেখানো স্বপ্নগগুলো বাস্তবায়ন করেন। তারি ধারাবাহিকতায় সিলেটবাসীর জন্য ৩৮ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্প গুলো হলো:
হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) এর মাজার উন্নয়ন, মহিলা ইবাদতখানা নির্মাণ, মাজারের সৌন্দর্য বর্ধন এবং মাজারের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা ২ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন, সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, পিরোজপুরে সার পরীক্ষাগার ও গবেষণাগার ভবন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা অফিস, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা এনএসআই কার্যালয় ভবন, সিলেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, জকিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২তলা ভিত বিশিষ্ট ৫তলা ভবন, নগরীর বাবুছড়ার আরসিসি ইউ টাইপ ড্রেন নির্মাণ কাজ, জালালাবাদ রাস্তা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ, সিলেট- সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক উন্নয়ন, মৌলভীবাজার-রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ- সিলেট সড়ক, রশিদপুর- বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়কের কাজ, সিলেট- গোলাপগঞ্জ-চারখাই-জকিগঞ্জ সড়ক, দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ সড়কের মজবুতিকরণসহ ওভারলে এর কাজ, ঢাকা(কাঁচপুর)- ভৈরব-জগদীশপুর- শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়কের (সিলেট-শেরপুর অংশ) মজবুতিকরণসহ ওভারলে এর কাজ, শেরপুর টোল প্লাজার উন্নয়ন কাজ, জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, কানাইঘাট সড়ক ও তিনতলা বিশিষ্ট প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার ভবন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন তালিকায় রয়েছে:
হজরত শাহজালাল (র:) মহিলা ইবাদতখানা ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেসা হল নির্মাণ, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ ভবন ও হলরুম নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্র হোস্টেল ভবন নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল ভবন নির্মাণ, সিলেটে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলের অভ্যন্তরে নার্সিং হোস্টেল ভবন নির্মাণ, সিলেট পুলিশ লাইনে এসএমপির ব্যারাক নির্মাণ, সিলেট পুলিশ লাইনে অস্ত্রাগার নির্মাণ, এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানার কম্পাউন্ডে ডরমেটোরি ভবন নির্মাণ, তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ভবন নির্মাণ, সিলেটের লালাবাজারে রেঞ্জ রিজার্ভ পুলিশ লাইনস নির্মাণ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতকরণ, বিভাগীয় পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা সিলেটের অফিস ভবন নির্মাণ, সিলেট-গোলাপগঞ্জ-চারখাই-জকিগন্জ মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার উন্নয়ন, গোলাপগঞ্জ-ঢাকাদক্ষিণ-ভাদেশ্বর মহাসড়ক ও চারখাই-শেওলা-বিয়ানীবাজার-বাড়ইগ্রাম মহাসড়কের ৯.৬০ কিলোমিটার উন্নয়ন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল ভবনের ৪র্থতলা হতে ১০তলা উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ।

সিলেট-জকিগন্জ রাস্তা ভিত্তিপ্রস্তর মোট ব্যায় হবে ১৭৩ কোটি টাকা, সিলেট - কোম্পানীগঞ্জ রাস্তায় মোট ব্যায় ৬২৬ কোটি টাকা।

মানুষকে জানাতে হবে শেখ হাসিনা প্রতিস্রুতি দিয়ে প্রতিস্রুতি রক্ষা করেন তাইতো ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে আর ঢাকা-সিলেট ৪ লেনের রাস্তাটিও ১০হাজার কোটি টাকা ব্যায় হবে এবং তাও নিজস্ব অর্থায়নে হবে।

মানুষ কে জানাতে হবে বছরের প্রথমদিন বিন্যামূল্যে শিক্ষার্থীদদের মাঝে বই বিতরণ করা দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে। বছরে ১ম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স/ পিএইচডি ডিগ্রী পর্যন্ত মেধাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি ও উপবৃত্তি মোট ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। উন্নত শিক্ষার জন্য ৪০হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটাল ল্যাব দেওয়া হয়েছে।

বৃদ্ধ মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, গ্রামের হত দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা প্রধান করে বাংলাদেশ সরকার। স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে ১৮০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিন্যামূল্য ঔষধ বিতরণ করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিটি ইউনিয়নে মানোন্নয়নের জন্য ডিজিটাল সেন্টারের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

আমাদের শুধু এই উন্নত সুযোগ পেয়ে বসে থাকলে চলবেনা। আগামী ৬টি সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হলে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারের প্রতিদিনের উন্নয়নের বার্তাটি সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছাতে হবে।

পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে হাট বাজারে চায়ের আড্ডায় বা সভাসমাবেশে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের কথা বলতে হবে।
সন্ত্রাস ও জংগী প্রতিরোধে শেখ হাসিনার নেওয়া প্রদক্ষেপের কথা সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করে, রাস্তাঘাট ধ্বংস করে তারা সাধারণ মানুষের গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী,সাধারণ মানুষক কেউ রক্ষা পায় না। শেখ হাসিনা স্কুল তৈরী করেন সবার শিক্ষা নিশ্চয়তার জন্য আর তার আন্দোলনের নামে জাতিকে পিছিয়ে দিতে স্কুল কলেজ আগুন দিয়ে পুড়ায়।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগে সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌছাতে হবে আমাদের। আর বার্তা পেরক হিসেবে সরকার ও সাধারণ মানুষের মাধ্যম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে আমরা যারা জয় বাংলার লোক।

মানুষকে বুঝাতে হবে শেখ হাসিনা কাথা দিয়ে কথা রাখেন, বিশ্বে ব্যক্তি শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ ধন্য। তাইতো সারা বিশ্বে ৩০ জন ক্ষমতাশালী সরকার প্রধারনের মধ্যে শেখ হাসিনা একজন।

এখন আর আগের মতো বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়না, প্রবাসীদের ছোট হতে হয়না, মাথা নিচু করতে হয়না। বরং শেখ হাসিনার জন্য এখন প্রবাসীরা গর্বের সাথে কথা বলতে পারে। মাথা উচু করে কথা বলতে পারে।

শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী, খালেদাজিয়ার মতো এতিমের টাকা মেরে খায় না, তাইতো বিশ্বের ৩জন সৎ সরকার প্রধানের মধ্যে শেখ হাসিনা একজন।

আমারা আমাদের নেত্রীকে নিয়ে গর্ব করি, আমরা শেখ হাসিনার চোখে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাচাঁতে হবে,বাংলাদেশকে উন্নত করতে হলে আওয়ামীলীগকে পুনরায় সরকার গঠন করতে হবে। নৌকা মার্কাকে জয়ী করতে হবে।

নৌকা স্বাধীনতার মার্কা
নৌকা মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মার্কা
নৌকা সাধারণ মানুষের মার্কা
নৌকা উন্নত বাংলাদেশের মার্কা

বাংলাদেশকে বাঁচাতে বাংলাদেশকে উন্নত করতে বহিঃবিশ্বে বাঙ্গালীদের সম্মান রক্ষার্থে আসুন সরকারের উন্নয়নের বার্তা মানুষের মাঝে পৌঁছে দেই এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদকে জয়ী করে দেই।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।

লেখক: মেহের হোসেন জাকির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মৌলভীবাজার জেলা শাখা।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন