আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
বিপ্লব কুমার পোদ্দার:: জম্বু অার কাশ্মীরের মানুষের মনের অবস্থা হয়তো আমি কিছুটা বুঝতে পারি। কারণ আমিও একজন সংখ্যা লঘু। কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা আমি তাদেরকে মুসলমান হিসেবে বিবেচনা না করে, বিবেচনা করি উগ্রবাদী শাসকের রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণের জন্য সংখ্যালঘু মানুষের উপর সীমাহীন নির্যাতনের এক চিত্র হিসেবে। কিছুটা হলেও নিরাশার মধ্যে অল্প একটু আশার বাণী, জাতিসংঘের উদ্বিগ্নতা কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে। মানুষের সত্যিকারের ধর্ম আমার কাছে মনে হয় সহনশীলতা, মানবিক মূল্যবোধ। তাই বাংলাদেশের হিন্দুরা কাশ্মীরের প্রশ্নে উগ্রবাদী নীতির বিরোধিতা করে প্রমান করুক তারা বাংলাদেশের এবং তারা বাংলাদেশী হিসেবেই যথার্থ বিরোধিতা করছে। তবে ভারতের মনে রাখা উচিত পাকিস্তান যে ভুল করেছিল ১৯৭১ এ , মনেেহয় সে ভুল ভারত আজ করছে। হয়তো ভারত কে পাকিস্তানের চেয়েও অনেক বেশি মূল্য দিতে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। এরই মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তানের সাথে চীনের কাছেও তাদের পাওনা জমি আছে বলে ঘোষনা করছে। আমার তো তাদের কথা বার্তা দেখে মনে হচ্ছে চীন বোধহয় কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে আসাম থেকে ৩০/৪০ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আবার একইসাথে বাংলাদেশের কাছে জমি চাইছে বিমানবন্দর করার জন্য। আমরা আপনাদের জমি দেই বিমানবন্দরের জন্য, আপনারা বড়োলোক হিসেবে আমাদের ফারাক্কা বাঁধ দিবেন কি? আমরা সেই বাঁধের রক্ষনা বেক্ষন করবো।
এবার দেশের প্রসংগে অাসি। ডেঙ্গুকে নিয়ে রাজনীতি না করে ঢাকার দুই মেয়রকে অন্তত কিছুদিন ছুটি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে নিশ্চয়ই একটােভালো ফল আসবে বলে বহু মানুষের ধারনা।
সাম্রতিক উপমহাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্ত মনে মুক্তি দিয়ে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সব পক্ষই লাভবান হবে। সবশেষে অনাচার, অবিচার আর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন থেকে মুক্তি পাক আসাম , কাশ্মীর সহ সারা বিশ্বের মানুষ। এই প্রত্যয়ে শেষ করছি।
বিপ্লব কুমার পোদ্দার লেখকঃ লন্ডনে কর্মরত অাইনজীবি ও সমাজকর্মী
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ আগস্ট ২০১৯/মিআচ