আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আজাদুর রহমান আজাদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২৯ ২২:১৫:১৪

আল-আমিন :: আজাদুর রহমান আজাদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত আওয়ামীলীগের সৈনিক এবং তরুণ প্রজন্মের বাতিঘর। তিনি সিলেট মহানগরে স-গৌরবের আসনে সমাসীন। তিনি নৈতিক গুণসম্পন্ন দক্ষ সাংগঠনিক শক্তির অধিকারী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ। তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা, প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারণকারী, সৃষ্টিশীল কাজে উদ্যোগী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন, ক্রীড়া সংগঠক এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ন ব্যক্তি হিসেবে আজকের এই সময়ে একজন যোগ্য রাজনৈতিক নেতার উদাহরণ।

তাঁর নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, নেতৃত্বের গুনাবলী, সৎচ্চরিত্রাবলী এবং রাজনৈতিক জীবনের বিশাল কর্মযজ্ঞই প্রমাণিত করে তিনি রাজনৈতিক মাঠের একজন কর্মদক্ষ কর্মী এবং আওয়ামীলীগের প্রাণ। ছাত্রাবস্থা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের আদর্শকে লালন করে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন গড়েছেন। তিনি জামাত-বিএনপির জেল জুলুম অত্যাচারকে সহ্য করে প্রেত্মাতাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আজকে সিসিকের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বার বার নির্বাচিত হয়েছেন।

আজাদুর রহমান আজাদের নৈতিক গুনাবলী অসাধারণ। তাঁর এই নৈতিক গুনাবলীর জন্যই আজকের রাজনীতির মাঠে তিনি একজন জননন্দিত, জনপ্রিয়, জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত। তাঁর এই জনপ্রিয়তা থাকার পরও তিনি কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি, অহংকার করেননি। আমি এমন একজন নেতার কর্মী হতে পেরে আমার অহংকার হয়, আমি গর্ব করি।

আজাদুর রহমান আজাদের নিকট যেকোনো জায়গার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী এবং সাধারণ নাগরিক যেকোন ধরনের সহযোগীতার জন্য তাঁর নিকট স্মরনাপন্ন হলে তিনি তাদেরকে শূন্য ফিরিয়ে দেননি। তিনি প্রসার করে দেন তাঁর সহযোগিতার হাত। তাঁর এই গুণাবলীর জন্য এই সিলেটের প্রতিটি উপজেলা, মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড, এলাকার বাসিন্দার নিকট আজ আজাদুর রহমান আজাদ একজন মানবতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত।

তিনি তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে সিলেটে জনপ্রিয় করেছেন ফুটসালের খেলা। ব্যাডমিন্টন, ঘুড়ি উৎসবসহ নানা ধরণের উৎসব তিনি করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন তরুণ প্রজন্ম জাতির ভবিষ্যৎ। আগামীর বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রহরী এই তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্ত, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তাই আজাদুর রহমান আজাদ সারা বছর বিভিন্ন খেলাধুলায় মাতিয়ে রাখেন সিলেট মহানগরবাসীকে। ক্রিড়া ও সংস্কৃতিতে উজ্জীবিত করেন তরুণ প্রজন্মকে।

তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো দললএবং দলের নেতাকর্মীর সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি। তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্যের এবং তাঁর দেহের রক্তে মাংসে ষোলআনা আওয়ামীলীগ বিরাজমান। সিলেটের কোনো নেতা এমনকি তাঁর রাজনৈতিক চরম বিরোধী শক্তিও বলতে পারবে না, তিনি কখনও ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। তিনি নগরের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিং এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নগরের উন্নয়ন কর্মকান্ডে এবং আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগকে সুসংগঠিত করতে ভোর থেকেই ছুটে বেড়ান। রাজনীতিতে তাঁর এই কর্মদক্ষতার নেতৃত্ব এই সময়ের আওয়ামীলীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত বিরোধী আন্দোলন এবং ১/১১ এর রাজনীতির চরম দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। স্বৈরাচার, জামায়াত-বিএনপি এবং ১/১১ এর সময়ে আজাদুর রহমান আজাদ জেল জুলুম নির্যাতনসহ্য করে আজকের আজাদুর রহমান আজাদ হয়েছেন।

তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকে দায়িত্ব পালন কালে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে একুশে গ্রেনেড হামলা চলাকালীন সময়ে তাৎক্ষণিক নিজের জীবনকে বাজি রেখে মানব প্রাচীর তৈরী করে রক্ষা করেছেন শতশত জীবন।

আজাদুর রহমান আজাদ একজন অসাম্প্রদায়িক নেতা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার জন্য তাঁর দরজা সব সময় উন্মুক্ত। তিনি সিলেট মহানগর তথা সিটি কর্পোরেশন এবং জেলার প্রতিটি উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন ইউনিটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এবং আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একটি শক্তিশালী সংগঠন প্রতিষ্টায় বিশ্বাসী। তাঁর হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, আদর্শে বঙ্গবন্ধু, রাজনৈতিক অনুসরনে জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামীলীগের অত্যন্ত প্রহরী।

আজাদুর রহমান আজাদ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব পালন করা থেকে শুরু করে সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে এখন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের পদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন। তিনি আগামী ৫ ডিসেম্বর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী।

আমি তরুণ প্রজন্মের হয়ে বিশ্বাস করি, সিলেট আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক এই দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ গড়ে তুলার লক্ষ্যে, কাউয়া, কুকিল মুক্ত এবং একটি মাদকমুক্ত সিলেট মহানগর, সন্ত্রাসমুক্ত শহর, জঙ্গিবাদমুক্ত প্রজন্ম এবং একটি শক্তিশালী আওয়ামীলীগের সিলেট মহানগর ইউনিট প্রতিষ্টার লক্ষ্যে আজাদুর রহমান আজাদকে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেওয়া খুব প্রয়োজন। এখন আজাদুর রহমান আজাদ কোন ব্যক্তি নয়, তিনি এখন আওয়ামীলীগের একটি প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্থ নিবেদিত প্রাণ। তিনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিপাহশালার হাতিয়ার।

লেখক: সভাপতি, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ছাত্রফেডারেশন বাংলাদেশ, সিলেট জেলা শাখা।



শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন