আজ মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ইশারা ভাষা কাদের জন্য জরুরি?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০২-১৫ ১১:৩৩:২৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বর্ণমালা আবিষ্কারের আগে ইশারায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে হতো। আদিম জনগোষ্ঠী ইশারায় তাদের শিকারের গল্প জনতার সামনে তুলে ধরতো। বর্ণমালা আবিষ্কারের ফলে এ আঙ্গিক প্রকাশ বিলুপ্ত হতে থাকে। তবুও বিশেষ শ্রেণির জন্য ইশারাই হয়ে ওঠে ভাব প্রকাশের মাধ্যম।

তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে ইশারা ভাষা। যার ইংরেজি হচ্ছে ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’। একে সাংকেতিক ভাষা বা প্রতীকী ভাষাও বলা হয়ে থাকে। এ ভাষা শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য জরুরি। তারা ইশারার মাধ্যমেই ভাবের আদান-প্রদান করে থাকেন।

ইশারা ভাষা বলতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত ও বাহু নাড়ানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে বোঝানো হয়। মুখের ভাষায় যোগাযোগ করা অসম্ভব বা অযাচিত হলে এ ভাষা ব্যবহার করা হয়।

সম্ভবত মুখের ভাষার আগেই ইশারা ভাষার উদ্ভব ঘটেছে। মুখের বিকৃত ভঙ্গিমা, কাঁধের ওঠা-নামা কিংবা আঙুল তাক করাকে একধরনের মোটা দাগের ইশারা ভাষা হিসেবে গণ্য করা যায়। সভ্যতার বিকাশের আগে ইশারা ভাষাই প্রচলিত ছিল।

তবে প্রকৃত ইশারা ভাষায় হাত ও আঙুল দিয়ে সৃষ্ট সুচিন্তিত ও সুক্ষ্ম দ্যোতনাবিশিষ্ট সংকেত সমষ্টি ব্যবহৃত হয়। এর সাথে সাধারণত মুখমণ্ডলের অভিব্যক্তিও যুক্ত করা হয়। মূক ও বধির লোকেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ইশারা ভাষা ব্যবহার করে থাকেন।

যেহেতু শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ ইশারার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকেন। তাই তাদের এ ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত হয় ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস’।

২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৭ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ফলে এ ভাষার বিস্তার এবং প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আমরা জানি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষের বৈচিত্রময় জীবনের প্রকাশ ঘটে এ ভাষার মাধ্যমে। এ ছাড়া অটিস্টিক, নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের অনেকে ইশারা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। তাই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে ইশারা ভাষা শেখানো জরুরি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ-১০

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন