আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

জলানন্দের হাকালুকি হাওর ভ্রমন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৮-১৯ ০০:০৫:৫৪

ফরিদ উদ্দিন :: চারিদিকে থৈথৈ জল সাথে ফেনা তুলা ঢেউয়ের লাফালাফি। পাল তুলা নৌকায় মাঝিদের বাউলা গান! এমন মুগ্ধকর দৃশ্য ফেঞ্চুগঞ্জ হাকালুকি হাওরের।

মিনি কক্সবাজার নামে পর্যটকদের কাছে পরিচিত এ হাকালুকি হাওরে ভ্রমন করতে পারেন শীতে বা বর্ষায় যেকোন সময়। দুই সময়ে পাবেন আলাদা আলাদা আনন্দ।

বর্ষাকালে এ হাওর ছোট সাগরে রুপ নেয়। স্বচ্ছ পানিতে চলে সাতার কাটা, দাপাদাপি। কেউ কেউ ভাড়া করা বিলাস বহুল লঞ্চ বা স্পিড বোট নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান হাওরে। রোমাঞ্চ বাড়াতে আছে স্কেডিং বোট।

আপনি চাইলে দুর্দান্ত গতির এ বোট ভাড়া করে জলানন্দে মাতে উঠতে পারেন। দিগন্ত জোড়া জলরাশির মধ্যে দ্বীপের মত সি,এন,আর,এস এর হিজল করচ বন আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এখানেই শেষ নয়, পারিবারিক বা দলবদ্ধ পর্যটকদের জন্য আছে হাওর বিলাস নামে প্রমোদতরী। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ প্রমোদ তরীতে রয়েছে, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও।

শীতকালে এ হাওয়ের রুপ বদলে দেয় " অতিথি পাখির কোলাহলে" প্রায় তিনশত প্রজাতির হাজার হাজার পাখি আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে।

শীতকালের পর্যটকরা শুকনো হাওয়ের মাঝ খানে তাবু করে বার বি কিউ পার্টতে মেতে উঠেন। আর দুই সিজনেই হাকালুকির নানা জাতের তাজা মাছ আপনার ভোজনে তৃপ্তি দেবে। ভোজন বিলাসী পর্যটকরা হাকালুকির পারেই মাছ ভেজে রান্না করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন।

সাথে আছে স্থানীয় ঘিলাছড়ার বিষমুক্ত নানা সবজি। পাবেন সিলেটের বিখ্যাত সাতকরা ও আনারস। হাকালুকি হাওরের পর্যটন ট্রান্সপোর্ট মালিক মুজিবুর রব চৌধুরী জানান, পর্যটকদের জন্য তার প্রমোদতরী সহ আছে স্পিড বোট, স্কেডিং বোট, নানা রকম ট্রলার। হাওর পর্যটকদের জন্য রয়েছে লাইফ জ্যাকেট সহ সাতারু নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

দিন দিন পর্যটক বাড়ার কারনে হাকালুকির পাশে মোকামবাজারে উপজেলা প্রশাসনের  উদ্যোগে পর্যটন স্পট তৈরীর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান, সিএনএস মাঠ কর্মি হেলাল আহমেদ।

যে ভাবে আসবেন- যে কোনু জায়গা থেকে সিলেট শহরে এসে কদমতলি ও হুমায়ুন রশিস স্কয়ার থেকে বাস,লেগুনা সিএনজি তে যাবেন ফেঞ্চুগঞ্জ ফেরীঘাটে। সেখান থেকে সিএনজি, রিক্সায় মাইজগাও পরে আবার সিএনজি তে ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট।  এখান থেকেই হাকালুকি হাওর শুরু। নিজস্ব গাড়ি হলে সিলেট শহর থেকে মাত্র এক ঘন্টার দূরত্ব।

জিরো পয়েন্টে ভাতের হোটেল নেই, খেতে হলে রান্না করে নিতে পারেন বা যাবার পথে ফেঞ্চুগঞ্জ, বা মাইজগাও থেকে খাবার কিনে নিতে হবে।

রান্না উপকরন সাথে নিলে জিরো পয়েন্টে রান্না করে খেতে পারেন আলাদা আনন্দ পাবেন।

আপনাদের ভ্রমন আনন্দময় ও নিরাপদ হোক। ধন্যবাদ।

লেখক: ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি, সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডট কম।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন