Sylhet View 24 PRINT

নিয়ন্ত্রণে আসছে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-১০ ১৮:৫৮:২৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজ ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব চ্যানেলকে জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ইউটিউব ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে দেশে আঞ্চলিক সদর দপ্তর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশের যেকোনো স্থানে বড় কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেটি তদন্ত করার জন্য সব গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল খুলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়। এগুলোতে বিজ্ঞাপন আছে। কারা কিভাবে এসব বিজ্ঞাপন দেয় যাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, লাইসেন্স নেই, পারমিশন নেই অনলাইন বলেন, টিভি বলেন তারা চালাচ্ছে। এগুলো দেখার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করেছি। যারা এগুলো চালাবেন তাদের জবাবদিহি থাকতে হবে। জবাবদিহির জন্য তাদের তালিকা ও লাইসেন্স দরকার। কতগুলো চলে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কোনো মিথ্যা নিউজ হলে মামলা হয়। প্রিন্ট মিডিয়া বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলেন জবাবদিহি আছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, এসব (ইউটিউব) এত বেশি হইছে, কে কোন দিক দিয়ে কী বলছে জানে না। সাইবার অপরাধগুলো অ্যালার্মিং হয়ে গেছে। ভারতে সবগুলোর (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) হেডকোর্য়ার্টার আছে। আমাদের দেশে নেই। তাই আমরা বাংলাদেশে যাতে এগুলোর হেডকোর্য়ার্টার করা হয় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বন্ধ করতে চাই না। নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। জবাবদিহির মধ্যে রাখতে চাই।

মন্ত্রী জনান, দেশের যেখানেই বড় কোনো ঘটনা ঘটুক সেগুলোর তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কমিটি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেনা, পুলিশ, বিজিবিসহ সব বাহিনীর নিজস্ব গোয়েন্দা রয়েছে। এ ছাড়া সিভিল গোয়েন্দা রয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটার পর সব গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বয় কমিটির কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দেবে। তাদের তদন্তে কী বেরিয়ে এলো সেগুলো বিচার বিবেচনা করে প্রতিকার করা হবে।


সৌজন্যে : পূর্বপশ্চিমবিডি
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ / ডেস্ক / জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.