আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

৬,৭০০ রোহিঙ্গা নিধন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১২-১৫ ০০:৪৬:২০

আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, ২৫শে আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর এক মাসের মধ্যে ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মধ্যে ৫ বছরের কমবয়সি শিশুর সংখ্যা ৭৩০।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের শরণার্থী কেন্দ্রগুলোতে জরিপ চালিয়ে তারা জেনেছেন, ২৫শে আগস্ট থেকে ২৪শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬,৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। এমএসএফ বলছে, তাদের জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে এই হিসেবে ধরলে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৪২৪ থেকে ১৩ হাজার ৭৫৯ জনও হতে পারে। তবে এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। অথচ সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সরকারের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল নিহতের সংখ্যা ৪০০।

রাখাইনের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের পুড়িয়ে, পিটিয়ে, ধর্ষণ-নিপীড়ন করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এমএসএফ। নিহতদের মধ্যে এমন ৭৩০ জন শিশুও রয়েছে, যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম। এই শিশুদের মধ্যে অন্তত ৬০ ভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২৫শে আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জেনিভা ভিত্তিক এই দাতা গোষ্ঠী বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরণার্থী শিবিরগুলোতে গিয়ে ১১ হাজার ৪২৬ জন রোহিঙ্গার উপর ৬টি জরিপ চালিয়েছে।

এমএসএফ এর মেডিকেল ডিরেক্টর ডক্টর সিডনি অং জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আসলে কত সেটা সুর্নিদিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন। জরিপে সেই পরিবারের কথা ধরাই হয়নি, যাদের কোনো সদস্যই হয়ত বেঁচে নেই। অথবা এমন কোন পরিবার যারা স্বজনদের হারিয়ে মিয়ানমারেই রয়ে গেছে।
সিডনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, তাদের পরিবারের কে কে মারা গেছে। বা তারা অনেককে দেখেছে গুরুতর আহত অবস্থায়, যাদের মৃত বলেই ধরে নিয়েছে তারা। '' নিহতদের মধ্য ৬৯ ভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৯ ভাগকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং ৫ ভাগকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন' হিসেবে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছে।

-ডিডাব্লিউ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন