আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ধর্ষণ করে নারীরাও, তাদের সাজা নয় কেন: আইনজীবীর প্রশ্ন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০১-১৩ ০০:৪৩:৪৫

ধর্ষণ এখন বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনের ঘটনা। বর্তমানে নারী নির্যাতনের সবচেয়ে বড় অমানবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। জঘন্য এ অপরাধে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রতিনিয়ত আদালতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন আইনজীবীরা। তবে চিরাচরিত এ প্রথা পাল্টে এবার পুরুষদের যৌন নির্যাতনের কথা সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরলেন এক আইনজীবী।

ঋষি মালহোত্রা নামে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী নিজের বক্তব্যে বলেন, শুধু পুরুষরা নন- যৌন নিগ্রহ, পিছু নেওয়ার মতো অপরাধে জড়িত থাকেন নারীরাও। সেক্ষেত্রে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। এই মর্মে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও করেন তিনি।

দাখিল করা পিআইএল-এ ওই আইনজীবী বলেন, ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের মতো অপরাধে নারীদের মত পুরুষরাও একইভাবে নির্যাতিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের ন্যায় পাইয়ে দেবে কে? বর্তমান আইনে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেন, তবে সেই নারীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এর কারণ মান্ধাতা আমলের প্রায় ১৫৮ বছরের পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধির বিশ্বাস, নারীরা এহেন অপরাধ করতে পারেন না। তাই অনেক ক্ষেত্রে আইনের ফাঁক গলে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, ব্যভিচারের সাজা লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে পারে কিনা। সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এই মামলায়।

আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা বলেন, অপরাধের কোনো লিঙ্গ হয় না। তাই আইনও লিঙ্গ নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। যে কারণে পুরুষরা অপরাধ করে। একই কারণে নারীরাও অপরাধে জড়ান। তাই আইনের উচিত অপরাধীদের মধ্যে ভেদাভেদ না করা।

তিনি আরও জানান, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে- ২২২ জন ভারতীয় পুরুষের মধ্যে ১৬.১ শতাংশকে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়েছে। নারীদের ধর্ষণ নিয়ে যেমন গবেষণা হয়, পুরুষদের ধর্ষণ নিয়ে তার এক শতাংশও হয় না।

কিন্তু বহু সমীক্ষা বলছে, পুরুষরাও ধর্ষণের শিকার হন, আর তার সংখ্যা যতটা মনে করা হয় তার থেকে অনেক বেশি। তাই এ ধরনের অপরাধ লিপিবদ্ধ করতে ও জনসমক্ষে আনতে লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইনের প্রয়োজন বলে জানান মামলাকারী।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন