আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

দুই বউয়ের ঝগড়ায় ব্রিটিশ রাজপরিবারে ভাঙন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-০৬ ০১:০৮:৪২

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই পুত্রবধু। এই ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে রাজপরিবারে ভাঙনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। আসছে বড় দিনে একসঙ্গে দেখা যাবে না রাজপরিবারকে।

রাজপরিবারের পঞ্চম উত্তরসূরি প্রিন্স হ্যারি মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন চলতি বছরের মে মাসের ১৯ তারিখে। বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মাথায় বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামসের স্ত্রী কেট মিডলটনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন রাজপরিবারের নতুন এই সদস্য।

স্থানীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, রাজপরিবারের দুই বধূর বিবাদ শুরু হয় মেগান মার্কেলের বিয়ের আগে থেকেই। রাজপরিবারের বৌ হবার আগেই মেগান পরিবারের মধ্যে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন।
তবে সর্বশেষ বিবাদের শুরু একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কেট মিডলটনের এক পরিচারিকার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন মার্কেল। তাতে ক্ষুব্ধ হন কেট। এক পর্য়ায়ের দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পরে স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মুখ খোলেন প্রিন্স হ্যারি। অন্যদিকে কেটের পক্ষ নেন স্বামী উইলিয়াম। দুই বধূ থেকে ঝগড়া ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজপরিবারে। বর্তমানে বেশ তিক্ততা চলছে। ফলে আগামী বড়দিনের অনুষ্ঠান দুই ভাই একসাথে কাটাবেন না বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্ক ভাল না থাকায় এবার বড়দিনে হ্যারি ও মেগান জুটি রাজপ্রাসাদে থাকছেন না। তারা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে স্যান্ড্রিংহামে ছুটি কাটাবেন। আর কেট যাবেন বাপের বাড়ি বার্কশায়ারে।

এদিকে ডেইলি এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, যে গৃহপরিচারিকাকে নিয়ে বিবাদের শুরু তার নাম ক্রিস্টোফার গেইড। তাকে এরই মধ্যে চাকরিচ্যুত করেছেন প্রিন্স চার্লস ডিউক। চাকরিচ্যুতির পর তিনি তাকে ‘অত্যন্ত ভাল এবং প্রচণ্ড চালাক’ আখ্যায়িত করেছেন।

মেইল অন সানডে’র বরাত দিয়ে প্রেস টিভি জানিয়েছে, বেশ কিছু বিষয় নিয়েই বিবাদে জড়িয়েছেন কেট মিডলটন ও মেগান। এর মধ্যে রয়েছে মেগানের লাইফস্টাইল। তার কিছু চালচলন ব্রিটিশ রাজপরিবারের রীতি পরিপন্থী হওয়ায় তার ওপর অসন্তুষ্ট কেট।

খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের রীতির খাপ খাইয়ে নিতে মেগানকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছিলেন কেট। কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে খুব শিগগিরই আলাদা হয়ে যাচ্ছেন দুই ভাই। প্রিন্স হ্যারি ও মেগান লন্ডনের বাইরে একটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন