আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

ভারতে হিংসা সংঘর্ষ, সিউলে শান্তি পুরস্কার মোদির

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২৩ ১৪:০৬:৫৫

কাশ্মিরের পুলওয়ামা হামলার ক্ষত না শুকাতেই দক্ষিণ কোরিয়ায় পুরস্কার নিতে ছুটে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সিউল গণমাধ্যমের খবর, ‘তিনি শান্তির দূত। মানবজাতির কল্যাণে তার অবদান সর্বশ্রেষ্ঠ। বিশ্বের উন্নয়নে তার অবদান ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেই বহুমূল্য অবদানের জন্যই শুক্রবার তার হাতে সিউল শান্তি পুরস্কার তুলে দিল দ. কোরিয়া।’

প্রকৃত রাষ্ট্র নায়কের মতোই সেটি ভারতবাসীকেই উৎসর্গ করেছেন মোদি। শান্তি পুরস্কার হাতে তিনি বলেছেন, পাঁচ বছরে ভারতের যে উন্নয়ন হয়েছে তার কৃতিত্ব জনতারই। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে এর থেকে বড় প্রাপ্তি বোধ হয় নেই।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, মানবজাতির উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উন্নয়ের সার্বিক অবদানের জন্যই মোদিকে এই শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। অথচ এই মোদির শাসনকালেই দেশে সব থেকে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। গোরক্ষকদের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক মানুষ।

ভারতে প্রাদেশিকতার হিংসা কয়েকগুণ বেড়েছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া তো দূরের কথা এনআরসির নামে দেশের বাসিন্দাদের ভিটেমাটি ছাড়া করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি সরকার। গণপিটুনি, নাশকতা, জঙ্গি হামলা, জাতিবিদ্বেষ কোনোটাই কমাতে পারেননি সদ্য শান্তি পুরস্কার হাতে নেয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

দেশ যখন সন্ত্রাসবাদী হামলায় জর্জরিত তখন শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে দেয়ার সাহসটুকু দেখাতে পারেননি মোদি। কাশ্মিরকে শান্ত করার পরিবর্তে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল বিদেশে গিয়ে শান্তি পুুরস্কার গ্রহণ করা।

এমনই শান্তির দূত তিনি। পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ২০০০০ মার্কিন ডলার (১৪,২৩,৫০০ টাকা) তিনি নমামি গঙ্গা প্রকল্পে খরচ করবেন বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ বিজেপি সরকার যে গঙ্গা পরিচ্ছন্নতা প্রকল্প গ্রহণ করেছে তাতে খরচ করা হবে।

বক্তব্যে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষের বছরেই তাকে সিউল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলে নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি। তবে সমালোচকরা মোদির এ মন্তব্যকেও খুব একটা সুনজরে দেখছেন না। তাদের অভিযোগ, শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর মোদি কি নিজেকে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করছেন? এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া।
সিলেটভিউ ২৪ডটকম/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এমএইচআর

সৌজন্যেঃ যুগান্তর

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন