Sylhet View 24 PRINT

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারীর ‘আদর্শ’ কারা?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৬ ১২:১৯:০৫

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জোড়া বন্দুক হামলায় এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী তার অস্ত্রে নিজের আদর্শের কথা উল্লেখ করেছেন। যাতে এ হামলার সবচেয়ে বড় অন্ধকার দিকটি বেরিয়ে এসেছে।

হামলাকারী তার অস্ত্রে উসমানীয় সাম্রাজ্যের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের বিজয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

হামলাকারীর টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্রেনটনট্যারেন্টে বুধবার একটি রাইফেল ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

এগুলোতে যেসব নাম ও বার্তার কথা লেখা ছিল, তা শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলার দৃশ্য সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করেছেন হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ার এই নাগরিক।

হামলায় যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা টুইটারে পোস্ট করা সামরিক সরঞ্জামের সঙ্গে মিলে গেছে।

অস্ত্রের গায়ে লেখা ল্যাটিন, সিরিলিক ও জর্জিয়ান হরফে যেসব শব্দ, তারিখ, ব্যক্তি ও যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, তা ইতিহাসে খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যের যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট।

হামলাকারী যেসব ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের কথা তার অস্ত্রের গায়ে তুলে ধরতে চেয়েছেন, এখানে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হল-

আলেক্সান্ডার বিসোনেট- ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি কিউবিক শহরের একটি মসজিদে হামলা চালান এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। মাগরিবের নামাজের পর আড্ডারত ৪০ ব্যক্তি ও চার শিশুকে টার্গেট করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন।

লুকা ট্রাইনি- ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কালো অভিবাসীদের ওপর হামলা চালিয়ে ছয়জনকে আহত করেন এই ইতালি নাগরিক।

জোসু এস্টানবানেজ- স্পেনের নতুন-নাৎসি। ২০১৭ সালে মাদ্রিদের প্রাণকেন্দ্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভকারী ১৬ বছর বয়সী কিশোর কালোর্স পালোমিনোকে ছুরিকাঘাত করেন।

বাজো পিভলজানিন- উত্তর বলকানে ১৭ শতকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এই মিলিশিয়া কমান্ডার। সার্ব ও ক্রোয়েশিয়ার লোকজন তাকে ‘নায়কোচিত’ সম্মান দেন।

চার্লস ম্যানটেল- ফ্রাংকের কার্যত রাজা ছিলেন তিনি। তাকে হ্যামার নামে ডাকা হয়। ফ্রান্সে তুরসের যুদ্ধে উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেন।

জন হুনিয়াদি- ট্রানসিলভ্যানিয়ার ভইভোডের একজন গভর্নর ও একজন হাংগেরিয়ান জেনারেল। ১৪৪১ ও ১৪৪২ সালে উসমানীয় বাহিনী তার কাছে পরাজিত হয়েছে।

দ্বিতীয় কনস্টানটিন আসেন- বুলগেরিয়ার দ্বিতীয় কনস্টানটিন উসমানীয় খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ছিলেন। অর্ধযুগ ধরে এ বিদ্রোহ চলছিল। কিন্তু পরাজয়ের মধ্য দিয়ে এ বিদ্রোহের অবসান ঘটে।

মিলোস অবিলিস- প্রিন্স লাজারের সেবায় একজন সার্বিয়ান নাইট ছিলেন তিনি। তিনি উসমানীয় সুলতান প্রথম মুরাদকে হত্যা করেন।

পেলাইউ- তিনি একজন ভিজিগথিক অভিজাত। কোভাডোঙ্গার যুদ্ধে জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উত্তর আফ্রিকার মুরসদের কাছ থেকে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ পুনর্বিজয়ে তার কৃতিত্ব রয়েছে।

প্রিন্স ফ্রুজিন- দ্বিতীয় বুলগেরিয়ান সাম্রাজ্য জয়ে উসমানীয় শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা একজন বুলগেরিয়ান অভিজাত।

সেবাসটিয়ানো ভেনিয়ার- চতুর্থ উসমানীয়-ভেনিটিয়ান যুদ্ধে তুর্কিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ডিউক অব ভেনিস।

সিগিসমুন্ড অব লুক্সেমবার্গ- উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে বুলগেরিয়াকে মুক্ত করতে ১৩৯৬ সালে নিকোপলিস ক্রুসেডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

ফেলিকস কাজিমিয়ারজ পটোকি- ১৬৮৩ সালে গ্রেট তুর্কিশ যুদ্ধের সময় তিনি ভিয়েনা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন যুদ্ধে তাতারস ও তুর্কিদের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করেন।

আইয়োসিফ গুরকো- ১৮৭৭-১৮৭৮ সালে রুশ-তুর্কি যুদ্ধে তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করা রুশ ফিল্ড মার্শাল। শিফাকা পাস যুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।


সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৬মার্চ ২০১৯/গআচ

সৌজন্যেঃযুগান্তর

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.