আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

কারাগারে বন্দিদের টার্গেটে সেই ট্যারেন্ট!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৮ ২০:৩৯:০৭

সিলেটভিউ ডেস্ক:: কারাগারে বন্দিদের অন্যতম টার্গেট বেন্টন ট্যারেন্ট। তাকে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে ‘মোস্ট টার্গেটেড পারসন’ হিসেবে রাখা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের হেরাল্ড এমন তথ্য জানায়। গত শুক্রবারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্যারেন্টকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালতে ট্যারেন্ট বলছেন, তাকে গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা চিহ্নিত করে রেখেছে। উল্লিখিত সেই গ্যাংয়ের এক সদস্য হেরাল্ডকে বলেন, আমরা বন্ধুকেও ভেতরে পাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে ক্যান্টাবুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধবিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রেগ নিউবোল্ড ট্যারেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশে করেন।

নিজেও একসময় কারবন্দি সেই অধ্যাপক বলেন, এমন হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। আমি এমন হুমকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি বলতে চাই, সে এখন চরম বিপদের মুখে আছে।

অপরাধবিষয়ক ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, কারাগারে থাকা অন্য বন্দিরা এ বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। বিশেষ করে সে একজন শ্বেত উগ্রবাদী। কেননা বন্দিদের বেশির ভাগই ট্যারেন্টের মতো শ্বেত নয়। তাছাড়া ট্যারেন্ট সেখানে কোনো শ্বেত বন্দিকে বন্ধু হিসেবে পাবেন না।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে শ্বেতাঙ্গরা অন্যদের চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম। আর তাই সবসময় তাদের মাথা নিচু করে রাখতে হয়। আর এ কারণেই ক্ষিপ্ত অন্য বন্দিরা ঘাতক ট্যারেন্টের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। যদি ট্যারেন্ট গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে বাকি জীবন কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুবই মারাত্মক। তাকে কঠোর সাজা দিতে পারেন বিচারক। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে ১৯৬১ সালে মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল করা হয়েছে।

ফৌজদারি আইনজীবী সিমন কুলেন বলেন, কোনো প্যারোল ছাড়াই তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হতে পারে। এমন সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। আর এমন সাজা দেয়া হলে তা হবে নজিরবিহীন।

তিনি বলেন, এটি এমন একটি পরিস্থিতি, যাতে কঠোর সাজা দেয়াই হবে স্বাভাবিক।

নিউজিল্যান্ডে হত্যাকাণ্ডের দায়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সাজা দেয়া হয়েছে ২০০১ সালে। তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উইলিয়াম বেল নামে এক অপরাধীকে ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ বিল হজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরদার্ন এ ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এ জঙ্গির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা থেকে বিরত থাকতে পারেন কৌঁসুলিরা।


সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৮ মার্চ ২০১৯/গআচ

সৌজন্যে:যুগান্তর

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন