আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সেই ঘাতক ব্রেনটন ৪০ বছর বাঁচলে খরচ ২১ কোটি টাকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২২ ১৮:৪৯:৫৮

নিউজিল্যান্ডে কোনো অপরাধীর সর্ব্বোচ্চ শাস্তি আজীবন কারাদণ্ড। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি হত্যাকাণ্ডের অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হন এবং দোষি সাব্যস্ত হন, তবে তান সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারাবাস।

সে হিসেবে ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫০ মুসল্লি হত্যাকারি সন্ত্রাসী ব্রেনটন ট্যারেন্টের সর্ব্বোচ্চ সাজা হলে তার পেছনে সরকারে খরচ হবে মোটা অংকের অর্থ। যার পরিমাণ হতে ২১ কোটি টাকারও বেশি।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই গ্রেফতার হয়েছেন ব্রেনটন। পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। এখন শুরু হবে তার বিচার। আইনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে আজীবন করাদণ্ড। কারণ ওই দেশে ফাঁসির আইন নেই।

সন্ত্রাসী ব্রেনটনের বয়স এখন ২৮ বছর। বিচার শেষে যদি আজীবন কারাদণ্ড হয় এবং সে যদি আরো ৪০ বছর বেঁচে থাকে, তাহলে নিউজিল্যান্ড সরকারকে তার জন্য ব্যয় করতে হবে ২১ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বিশ্বের কোনো দেশের পক্ষেই তার দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেটা উন্নত দেশ হোক, উন্নয়নশীল হোক, অনুন্নত হোক কিংবা স্বল্প উন্নত দেশই হোক।

এটা কিছুতে সম্ভবও নয়। তবে উন্নত দেশের আইন একটি ক্ষেত্রে তার দেশের নাগরিককে শতভাগ সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তা হলো অপরাধ সংঘটনের পর অপরাধীর জীবনের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।

বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তানসহ এশিয়ার দেশগুলোতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধীকে গণধোলাই দিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করার নজির রয়েছে। এক্ষেত্রে আইন তাকে সুরক্ষা দিতে পারে না।

বরং অপরাধীকে আটকের পর রিমাণ্ডে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়ে থাকে। অনেক সময় পুলিশের পিটুনিতে রিমান্ডেই অনেককে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়। তাই এসব দেশে অপরাধ সংঘটনের আগে একজন অপরাধী বিষয়গুলো চিন্তা করেই অপরাধের পথে পা বাড়ায়।

কিন্তু উন্নত দেশের নাগরিক জানে সে যদি হত্যাও করে তাহলে তার সর্বোচ্চ সাজা হবে আমৃত্যু কারাদণ্ড। হত্যাকাণ্ডের পর জনতার হাতে ধরা পড়লেও কেউ তার ওপর হাত তুলতে পারবে না। পুলিশ ধরলেও তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করতে পারবে না।

আমৃত্যু সাজা হলে কারাগারেই দিন কাটাতে হবে। তাই অপরাধ সংঘটনে তেমন ভয় থাকে না। কিছুদিন আগে এক সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, বৃটেনে একজন নাগরিককে জেলে বন্দি রাখতে সরকারের বার্ষিক ব্যয় হয় প্রায় ৪৭ হাজার পাউন্ড।

সেই হিসেবে একজন কয়েদিকে যদি চল্লিশ বছর জেলে রাখা হয় তাহলে সরকারের খরচ হয় ১৮ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় তা হবে ২১ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।


সিলেটভিউ ২৪ডটকম/২২ মার্চ ২০১৯/গআচ

সৌজন্যে: বাংলাদেশ টুডে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন