Sylhet View 24 PRINT

জোর করে বলানো হল ‘গোমাতা কি জয়’ স্লোগান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-০৮ ১৮:২৬:৪৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: গরু বহনের অভিযোগে ২৪ জনের একটি দলকে হেনস্থা, কান ধরে ওঠ-বসা করা ও জোর করে ‘গো মাতা কি জয়’ বলানোর অভিযোগ উঠল।

রবিবার লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশর খান্ডওয়া নামক জায়গায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। এরা সকলেই বেশ কিছু গবাদি পশু নিয়ে মহারাষ্ট্রের একটি পশু মেলাতে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। মাঝপথেই তাদের পথ আটক করে সাভালিকেরা গ্রামের ১০০ জন বাসিন্দা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ২৪ জন ব্যক্তিই ২০ টি গবাদি পশু জবাইয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল এবং মেলায় বিক্রি করতে যাচ্ছিল বলে তাদের দাবির স্বপক্ষে কোন বৈধ নথিও ছিল না।

এরপরই শাস্তি হিসাবে তাদের সকলের হাত শক্ত করে বেঁধে তাদের হাঁটু মুড়ে বসানো হয়। পরে তিন কিলোমিটার পথ হাঁটিয়ে খালবা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মোবাইলে পুরো ঘটনা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়তেই শুরু হয় নিন্দার ঝড়। ভিডিওতে দেখা গেছে দলের ১৫ জনের হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা ও কান ধরা অবস্থায় তাদেরকে জোর করে ‘গো মাতা কি জয়’ বলানো হয়। ভিডিওটিতে আরও দেখা গেছে সাদা রঙের জামা পরা এক ব্যক্তি মোবাইলে সবার মুখের ক্লোজআপ ছবি বা ভিডিও নিচ্ছেন। বাকি দুই জন কড়া নজর রাখছেন হাত বাঁধা পুরুষদের ওপর।
খালবা থানার ইন্সপেক্টর হরিশঙ্কর রাওয়াত জানান ‘যারা গরু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল তাদের কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রামবাসীরা থানায় নিয়ে আসেন। আমরা গবাদি পশু ভর্তি ২১ ট্রাককে আটক করেছি। গরুগুলিকে গোশালয়ে পাঠানো হয়েছে। গরুগুলিকে মধ্যপ্রদেশের হারদা জেলা থেকে মহারাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।’

জেলা পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট শিবদয়াল সিং জানান ‘আটক ২৪ অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে কেউই নিজেদের দাবির স্বপক্ষে কোন বৈধ নথি দেখাতে পারেন নি। তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ‘মধ্যপ্রদেশ গোবংশ বধ প্রতিষেধ অধিনিয়ম-২০০৪’ ও ‘প্রভিশনস অফ প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।


সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/০৮ জুলাই ২০১৯/গআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.