আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

তিন তালাকের অভিযোগ দিতে যাওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১৯ ১৭:০৪:১৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারতের উত্তরপ্রদেশে তিন তালাক দেয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ায় এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর গাদ্রা গ্রামে ওই নারীর ৫ বছরের মেয়ের সামনেই তাকে হত্যা করা হয়। খবর এনডিটিভির।

নিহত নারীর নাম সাঈদা। তিনি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তার স্বামী নাফিস (২৬) মুম্বাইতে কাজ করেন। গত ৬ আগষ্ট তাকে টেলিফোনে তিন তালাক দেন তার স্বামী।

নিহতের বাবা রমজান খানের জানিয়েছে, ২০১৩ সালে তার মেয়েকে বিয়ে করে নাফিস। ৬ আগষ্ট টেলিফোনে তিন তালাক দেয়ার পর সাঈদা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়।

কিন্তু তার অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। তারা সাঈদাকে নাফিসের মুম্বাই থেকে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ১৫ আগস্ট নাফিস বাড়ি ফিরলে স্ত্রীসহ তাকে থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয়। দুজনের সঙ্গে কথা বলে সাঈদাকে তার স্বামীর সঙ্গেই থাকার পরামর্শ দেন।

এর পরদিনই সাঈদাকে তার পাঁচ বছরের মেয়ে ফাতিমার সামনেই শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেন নাফিস ও তার বাড়ির লোকজন।

পুলিশের কাছে ফতিমা জানিয়েছে, ১৬ আগস্ট তার বাবা জুমার নামাজ পড়ে এসে মাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি তিন তালাক দেয়ার কথা মনে করিয়ে দেন। এরপরই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

শিশু ফাতিমা আরও বলে, আমার দাদা আজিজুল্লাহ, দাদী হাসিনা, দুই ফুফু গুড়িয়া ও নাদিয়া আসে। তারপর বাবা মায়ের চুল ধরে পেটাতে থাকে। ফুফুরা মায়ের শরীরে কেরোসিন ঢালে। দাদা-দাদী মিলে মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাঈদার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সাঈদার ভাই রফিক বলেন, আমি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব।

সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ আগস্ট ২০১৯/জিএসি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন