আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

মোদিকে চাপ দিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান মার্কিন সিনেটরদের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১৪ ২২:১১:০৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: কাশ্মীর সংকটসহ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট সব বিরোধ সমাধানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের একটি দল। চারজন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন, টড ইয়াং, বেন কার্ডিন ও লিন্ডসে গ্রাহাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের আগে ও পরে আটক করা হয়েছে বহু মানুষ। ট্রাম্পকে তার প্রভাব ব্যবহার করে এসব মানুষকে মুক্তির ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন এমপিরা। খবর ডনের।

ওই চিঠিতে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তারা লিখেছেন, আপনার প্রতি আমাদের অনুরোধ- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আপনি আহ্বান জানান কাশ্মীরে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করতে, অচলাবস্থা ও কারফিউ তুলে নিতে এবং আটক কাশ্মীরিদের মুক্তি দিতে। কাশ্মীরের এ পরিস্থিতি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, কাশ্মীরের মর্যাদা বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সব পক্ষকে সহায়তা করা আপনার লক্ষ্য। আমরা আপনার এ লক্ষ্যকে সমর্থন করি। কিন্তু কাশ্মীরে এখন যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা বন্ধে অবিলম্বে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ওদিকে আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে একটি চিঠি লিখেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান প্রমিলা জয়াপাল। কাশ্মীরে সব রকম যোগাযোগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় অবরোধ তুলে নিতে, আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে ভারতের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন পম্পেওর প্রতি।

গত ২২ জুলাই কাশ্মীর ইস্যু ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অন্যান্য ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পাকিস্তান এ প্রস্তাবে সমর্থন দিলেও প্রত্যাখ্যান করে ভারত। সেই কথা তাকে স্মরণ করিয়ে তারা লিখেছেন, আপনি জুলাইয়ে সহায়তার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সে কথা অনুযায়ী আমরা বিশ্বাস করি- ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ নিয়ে যোগাযোগ বা সংশ্লিষ্টতা কাশ্মীরের সব মানুষের স্বস্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ মানবিক সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। আমরা আপনাকে আহ্বান করছি যত দ্রুত সম্ভব সেই ভূমিকা পালন করুন।

গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারত। কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনাসদস্য। জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেয়া হয় সব রকম যোগাযোগ। সিনেটররা তাদের চিঠিতে লিখেছেন, সবকিছু এভাবে বন্ধ করে দেয়ায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এতে স্থানীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে।

সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন