আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সীমান্ত শহর থেকে সরে তুরস্কের হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে দিল কুর্দিরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২১ ১৮:১৯:২৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: তুরস্কের সামরিক অভিযানের মুখে উত্তর সিরিয়ায় সীমান্তবর্তী শহর রাস আল আইন শহর ছেড়ে দিয়েছে কুর্দি বিদ্রোহীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) জানিয়েছে।

শহরটি ছেড়ে দেয়ার পর তুর্কি বাহিনী ও এর মিত্রদের কাছে শহরটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। তুর্কি-মার্কিন সমঝোতা অনুযায়ী রোববার বিকালে বিদ্রোহীরা শহরটি ত্যাগ করে বলে জানা গেছে।

কুর্দি বিদ্রোহীদের শহরটি ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আঙ্কারার পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

তুরস্ক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার বিকালে ৮৬টি গাড়ির একটি বহর নিয়ে কুর্দি এসডিএফ বিদ্রোহীরা শহরটি ত্যাগ করেছে।তুরস্কের বাহিনীগুলো ও তাদের সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা প্রায় চারদিক থেকে শহরটি ঘিরে রেখেছে।

কুর্দিশ ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর দিকেই সীমান্তবর্তী শহর রাস আল আইন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল তুরস্ক।

এদিকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়ার কুর্দিরা। সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দিদের এখন ভরসা-ইসরাইলের ইহুদীরা তাদের অবহেলা করবে না। তারা বলেছে, তুরস্কের সামরিক অভিযানে নারী ও শিশুদেরও প্রাণহানি হচ্ছে।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অস্ত্রবিরতির মার্কিন ঘোষণার পরও সীমান্ তুরস্কের সঙ্গে কুর্দিদের সামান্য লড়াই চলছে।

প্রসঙ্গত, সীমান্ত নিরাপদ, সিরিয়ার অখণ্ডতা ও সিরিয়ান শরণার্থীদের নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে চলতি মাসের ৯ অক্টোবর থেকে উত্তর সিরিয়ায় অপারেশন পিস স্প্রিং শুরু করেছে তুর্কি সরকার। উত্তর সিরিয়ার পূর্ব ফোরাত নদী পিকেকে/পিওয়াইডি ও ওয়াইপিজে মুক্ত করতে চায় আঙ্কারা।

৩০ বছর ধরে পিকেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। পিকেকে সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তালিকাভুক্ত করেছে। ওই সংগঠনটির হাতে এ পর্যন্ত নারী, কিশোর ও শিশুসহ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।


সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ অক্টোবর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন