Sylhet View 24 PRINT

চীনের এই গ্রামে সবাই কোটিপতি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-০৫ ২১:২১:০১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: আধুনিক জীবনযাপনের সব রকম সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন গ্রামটি দেখলে মনে হয় কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি আর ফসলের ক্ষেতে ভরা। কিন্তু দেখে যাই মনে হোক না কেন গ্রামটির প্রত্যেকটি মানুষ কোটিপতি। স্থাপত্য আর নির্মাণশৈলীও অসাধারণ। কেননা এমন গ্রামেই রয়েছে ৭২তলা ভবন।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ঝিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত এই গ্রামের নাম হুয়াক্সি। যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে হুয়াক্সি নয় গ্রামটি আসলে দেশটিতে ‘সুপার ভিলেজ’ নামেই সমধিক পরিচিত।

গ্রামটির গোড়াপত্তন ঘটে ১৯৬১ সালে। অন্যা গ্রামের মতোই তখন সেখানে ক্ষেত-খামার, কাঁচা বাড়িঘর, কদর্মাক্ত রাস্তাঘাট ছিল। কিন্তু চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সম্পাদক উ রেনবাওয়ের প্রচেষ্টায় গ্রামটি আধুনিক রূপ পায়। তখন হুয়াক্সিকে সামজিক (সোশ্যালিস্ট) গ্রামে ডাকা হতো।

আজ গ্রামটি শুধু আধুনিকই হয়নি, এর প্রত্যেক বাসিন্দা এখন প্রচুর সম্পদের মালিক। একদিন যিনি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, আজ তিনিও কোটিপতি। এই গ্রামে যিনি সর্বনিম্ন সম্পদের মালিক তারও সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ১০ লাখ ইউয়ান। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সোয়া কোটি টাকার সমান।

গ্রামটির বাসিন্দা মোটে দুই হাজার। স্থানীয় প্রশাসন গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি এবং জীবনযাপনের সব রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। সুবিধাটি পেতে সেখানকার মানুষকে ব্যক্তিগত কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। তবে সবাই এই সুবিধা নেন না। যারা অলস তারাই এটি নিয়ে থাকেন।

গ্রামটিতে ৭২ তলার ভবন, বিলাসবহুল শপিং মলসহ আছে অত্যাধুনিক সব থিম পার্ক। বড় বড় বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এসবের মালিক সকল গ্রামবাসী। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক লাভের এক-পঞ্চমাংশ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বন্টন করে দেয়।

গ্রামটিতে চোখে পড়ার মতো ব্যাপার হলো, প্রতিটি ঘরের স্থাপত্যের ধরন, আকার আর নকশার মধ্যে কোনো পার্থক্যই নেই। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, ছোট ছোট হাজারো হোটেল সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে চাইলে যেকোনো জরুরি মুহূর্তে কোনো ফি ছাড়া হেলিকপ্টার সুবিধাও পাওয়া যায়।

তবে চীনের এই কোটিপতিদের গ্রামের একটা বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি। যদি কেউ গ্রাম ছেড়ে একবার চলে যায় তাহলে তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেয় প্রশাসন। এছাড়া জুয়া আর মাদক এখানে নিষিদ্ধ। সপ্তাহের প্রতিটি দিন নিজ নিজ কাজ করতে হয় সবাইকে। সাপ্তাহিক ছুটি বলে এখানে কিছু নেই।

সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৫ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.