আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
সিলেটভিউ ডেস্ক :: ১৫ বছরের এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীকে স্কুলে টানা চার মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই দৃষ্টিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬২। ভারতের রাজকোটের মন্দির শহর আম্বাজিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির একটি গণমাধ্যম বলছে, গত মাসে দীপাবলির ছুটিতে পাটান জেলার রাধানপুর তালুকায় নিজের গ্রাম প্রেমনগরে গিয়ে বোনের কাছে সব খুলে বলেন ওই কিশোরী। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও স্কুলে যেতে চাইছিল না সে। এতে সন্দেহ হয় পরিবারের। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী তার স্কুলের দুই শিক্ষক চমন ঠাকুর (৬২) ও জয়ন্তী ঠাকুরের (৩০) কুকীর্তির কথা জানায়। এরপরই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে গান শেখার জন্য গত জুলাইয়ে স্কুলটিতে ভর্তি হয় ওই কিশোরী। স্কুলে বিশেষভাবে সক্ষমদের ভোকেশনাল ট্রেনিং ও কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলের হোস্টেলে থাকতো মেয়েটি।
গত ৪ নভেম্বর পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২ মাস আগে মিউজিক রুমে প্রথম মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন জয়ন্তী ঠাকুর। তিনদিন পর ওই একই ঘরে তাকে ফের ধর্ষণ করে চমন। এরপর নবরাত্রির আগে ফের জয়ন্তী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে যৌন নির্যাতন। সহ্য করতে না-পেরে স্কুলের অন্য তিনজন শিক্ষককে বিষয়টি জানিয়েছিল মেয়েটি।
আম্বাজির পুলিশ পরিদর্শক জেবি আগরওয়াত বলেন, এ ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষকেরা পালিয়েছেন। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এদিকে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ওই দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৭ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি