আজ বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ডিসেম্বরে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৯ ১৯:৩৩:৪১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর। এই শুনানি চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সোমবার আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করবে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করবে মিয়ানমার। দ্বিতীয় ধাপে দুই দেশই শুনানি করবে। আর এই শুনানি সরাসরি দেখানো হবে। খবর বিবিসি, রয়টার্স।

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদউ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় আমরা ‘দি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’ (আইসিজে)-এ আমাদের আবেদন জমা দিয়েছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, নিজের জনগণের সঙ্গে মিয়ানমার যে আচরণ করেছে সেটির জন্য তাদের জব্বাদিহি করানো। আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা ঘটবে আর আমরা তা দেখেও কিছু না করলে আমাদের প্রজন্মের জন্য তা হবে খুবই লজ্জার ব্যাপার।’

গাম্বিয়া ও মিয়ানমার দুই দেশই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। কনভেনশন অনুযায়ী সদস্য দেশগুলো শুধু গণহত্যা থেকে বিরত থাকাই নয় বরং এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করা এবং এমন অপরাধের জন্য শাস্তি বিধানেও বাধ্য।

আইসিজে’র বিধি অনুসারে, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ তুলতে পারে।

গাম্বিয়ার দায়ের করা ৪৬ পৃষ্ঠার আবেদনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও তাদের আবাস ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যদি আন্তর্জাতিক আদালত এ মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ করে, তবে রোহিঙ্গাদের হত্যা-নিপীড়নের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমার প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবে।

অন্যদিকে এটি হবে গণহত্যার নিজস্ব তদন্তে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রথম উদ্যোগ। এর আগে তদন্তের ক্ষেত্রে তারা অন্য সংস্থার ওপর নির্ভর করত। গণহত্যা সংক্রান্ত কোনো মামলার তদন্ত আইসিজে একা করেনি। তদন্তকাজে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহায়তা নিয়েছিল সংস্থাটি।

ওআইসির সমর্থনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই মামলায় আইনি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ফোলে হোয়াগ’। তাদের আশা, আগামী মাসেই মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই অভিযানকে জাতিগত নিধনের চেষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন