Sylhet View 24 PRINT

স্বামীর পরকীয়া থাকায় রান্নাঘরে পুঁতে রাখলেন স্ত্রী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২২ ২২:২৪:৪৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক আছে সন্দেহে আইনজীবী স্বামীকে খুন করে রান্নাঘরে পুতে রেখেছেন স্ত্রী। তারপর গত কয়েক মাস ধরে সেই রান্নাঘরে রান্নাও করেছেন নিয়মিত। বাড়ি থেকে বের হননি কোথাও। এছাড়া স্বামী নিখোঁজ বলে মামলাও করেছেন থানায়। অবশেষে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার রোমহর্ষক এই খুনের ঘটনায় পুলিশও হতবাক। খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিলেন কি না তা জানতে গ্রেফতার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে এখনো কিছু জানা যায়নি।

পুলিশ বলছে, ঘটনার শুরু কয়েক মাস আগে। কারোন্ডি গ্রামের বাসিন্দা মহেশ বানওয়াল (৩৫) নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী প্রমিলা (৩২)। কিন্তু পুলিশ নিখোঁজ মহেশের কোনো হদিস পাচ্ছিল না। গতকাল নিখোঁজ মহেশের ভাই থানায় গিয়ে জানান, মহেশের নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রীও জড়িত থাকতে পারেন।

পুলিশ যখন তাকে এই সন্দেহের নেপথ্য কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তখন তিনি বলেন, ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করলেও তাদের কাউকেই ওই বাড়িতে ঢুকতে দেননি মহেশের স্ত্রী। পাশাপাশি ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার জন্য তাদেরকে দায়ী করে তার ভাইয়ের স্ত্রী প্রমিলা। তারপর তাদের মনে সন্দেহ জাগে।

তা জানতে পেরে পুলিশ সরাসরি মহেশের বাড়িতে যায়। বাড়িতে ঢুকেই দুর্গন্ধ পান তারা। কিন্তু গোটা বাড়ি খুঁজেও কোথাও কিছু পাচ্ছিলেন না। তবে বেশ কিছু সময় ধরে চারপাশ খেয়াল করার পর তাদের মনে হয় গন্ধটা রান্নাঘর থেকেই বেশি আসছে। তারপর সেখানে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন।

অমরকণ্টক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভানুপ্রতাপ সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গন্ধের উৎস নির্ধারণ করার পরই আমরা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করি। শেষে রান্না করার ‘স্ল্যাবের’ নীচে ‘নিখোঁজ’ মহেশের পচাগলা মরদেহ। আমরা তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

তবে পুলিশ গিয়ে রান্নাঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করলেও স্বামীকে হত্যা করেননি বলে দাবি করছেন প্রমিলা দেবী। তিনি বলছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। অবশ্য পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। খুনের ঘটনায় তার ভাই তাকে সাহায্য করেন বলে দাবি তার।

অবশ্য প্রমিলা দেবীর ভাই গঙ্গারামকে পুলিশ এ বিষয়ে জিজ্ঞাসবাদ করলে তিনি খুনে সাহায্য করার কথা অস্বীকার করেছেন। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, গঙ্গারামের স্ত্রীর সঙ্গে প্রমিলার স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাই তারা ভাইবোন মিলে মহেশকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেন।

তবে একজন নারীর একার পক্ষে কাউকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলা সম্ভব নয় বলে দাবি করে পুলিশ বলছে, হত্যার সঙ্গে গঙ্গারাম ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন। খুনি ভাড়াও করা হতে পারে। এছাড়া প্রমিলা ও রমেশ দম্পতির চার মেয়ে কিছু বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানতেন কিনা, সেটিও তদন্ত করছে পুলিশ।

সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.