আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এবার রাখাইনে সমুদ্রবন্দর তৈরি করবে চীন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-১৮ ১২:০৭:৫০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মিয়ানমারের রাখাইন থেকে মুসলমানদের নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়ার পর এবার রাখাইনে সমুদ্রবন্দর তৈরি করতে যাচ্ছে চীন- এমন আভাসই দিলো কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

দুই দিনের সফরে শুক্রবার মিয়ানমার পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্ষমতায় আসার পর শি জিনপিংয়ের প্রথম সফর। আর ১৯ বছর পর চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের মিয়ানমার সফর এটি। চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকে চীনের গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছে আল-জাজিরা।

মিয়ানমারের ডেপুটি বাণিজ্যমন্ত্রী অং জেঁইয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনপিং তার সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিনত ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের এই বৈঠকে চামসু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ও রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রায় হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। ইতোমধ্যে আসিয়ানভুক্ত সব দেশ সফর করেছেন তিনি। শুধু বাকি ছিল মিয়ানমার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিক এই সফরের মাধ্যমে মূলত মিয়ানমারকে কাছে পেতে চাইছে চীন। আর এটা চীনের স্বার্থেই-গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগেরই অংশ।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, অভিযানে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাখাইনে মিয়ানমারের গণহত্যার অভিযোগ এনে দেশটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দাঁড় করিয়েছে গাম্বিয়া। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক চাপে রয়েছে মিয়ানমার। সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই সফর দেশটির পাশে দাঁড়ানোরই শামিল চীনের।

গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার মামলার পর মিয়ানমার চীনের সঙ্গে আরও সম্পর্ক জোরদার করতে থাকে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বাস্তুচ্যুত করার সময়ও চীনের ভূমিকা ছিল কার্যত মিয়ানমারের পক্ষেই।

সৌজন্যে : জাগো নিউজ ২৪

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৮ জানুয়ারি ২০২০/আরএইচডি/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন