Sylhet View 24 PRINT

মিয়ানমার রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না: আন্তর্জাতিক আদালত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৩ ১৬:৪৫:৫৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মিয়ানমার রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত জানিয়েছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গা নিধন অস্বীকার করে যে দাবি করছে সেটি ভিত্তিহীন।

আইসিজের বিচারক বলছেন, গণহত্যার কনভেনশনে কোনো রাষ্ট্রই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এ মামলায় মিয়ানমার অসহযোগিতা করেছে। গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করতে আইসিজে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে মিয়ানমারের দাবি নাকচ করেন বিচারক।

এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে বলেও জানিয়েছেন আইসিজে।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সিদ্ধান্ত পড়তে শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। এ আবেদনের বিষয়ে বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানান।

আদালত জানান, গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী (প্রোটেক্টেড) গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য। সনদের সংশ্লিষ্ট ধারা ৮ ও ৯ এর আওতায় এই মামলা দায়েরের গাম্বিয়ার প্রাধিকার। এ বিষয়ে মিয়ানমারের আদালতে আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। গাম্বিয়া নিজ উদ্যোগে এই আবেদন করেছে। এরপর তারা ওআইসিসহ যেকোনো সংস্থা ও দেশের কাছে তারা সহযোগিতা চাইতে পারে। তাতে মামলা করার অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করে। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও সাম্প্রদায়িক নিধন চালিয়েছে।

গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানির জন্য ১০-১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করে মিয়ানমার।

১০ ডিসেম্বর গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

আবুবকর তামবাদু শুনানিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেন এবং গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান।

নৃশংসতার জন্য দায়ী সেনা সদস্যদের বিচার ও সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ওপর ‘আস্থা রাখা যায় না’ মন্তব্য করে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চান গাম্বিয়ার প্রধান কৌঁসুলি পল রিখলার।

অন্যদিকে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে সু চি দাবি করেন, রাখাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে গাম্বিয়া যে চিত্র আদালতে উপস্থাপন করেছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’।

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক বিচার কাঠামোকে কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিত মন্তব্য করে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা বাতিল করার আর্জি জানান সু চি।

দুপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর আইসিজের ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী নিধন চালায়। নৃশংসতা থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে না মিয়ানমার।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.