আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ধর্মভিত্তিক আইন: অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না শহিদের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৬ ১২:০২:৫১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মাস চারেক আগে শহিদকে বিয়ে করতে নয়াদিল্লিতে আসেন ২০ বছর বয়সী তরুণী সাজিয়া। এখন তিনি দুই মাসের গর্ভবতী। অপেক্ষা করছেন, কখন স্বামীর মরদেহ আসবে। উত্তর প্রদেশের বুলান্দশাহরে নিজের বাড়িতে নিয়ে তার লাশ দাফন করবেন।

দ্য প্রিন্টের খবরে বলা হয়, উত্তরপূর্ব দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে একজন হলেন শহিদ। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় তার পেটে গুলি করলে তিনি নিহত হন। ২২ বছর বয়সী শহিদ ছিলেন একজন অটোরিকশা চালক।

সাজিয়া বলেন, তিনি প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেতে বাড়িতে আসতেন। আমি খেয়েছি কিনা, তা খেয়াল রাখতেন। আমাকে বলতেন, সাজিয়া তুমি খাও, বাবু ক্ষুধার্ত।

কিন্তু গতকাল তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরে খবর আসে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

রোরবার শহিদ তার জন্য একজোড়া বালা কিনে আনেন। কথা বলার সময় সেগুলোর দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। একদিন পারেই তার স্বামী নিহত হন। তিনি বলেন, এখন আমরা কী হবে? আমার পেটে সন্তানেরও বা কি হবে?

স্বামী নিহত হওয়ার পর থেকে আর কিছুই খেতে চাচ্ছেন না সাজিয়া। তিনি বলেন, আমি খাবো না। তার মরদেহ না দেখা পর্যন্ত আমি খাবো না। চিকিৎসকরা তার মরদেহ দেখতে দেয়নি আমাকে। তার মরদেহ দেখার অধিকার কি আমার নেই?

সোমবার গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে সিমাপুরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ফেরেন সাজিয়া। ওই হাসপাতালেই অধিকাংশ মরদেহ রয়েছে।

যখন তিনি ফিরছিলেন, তার সঙ্গে থাকা পুরুষ আত্মীয় তাকে বোরকা খুলে ফেলতে বলেন, যাতে তাকে মুসলমান বলে কেউ শনাক্ত করতে না পারেন।

সাজিয়া বলেন, বাড়িতে আমি নিজের দেবরের সঙ্গে পর্যন্ত দেখা দিই না। কিন্তু আজ আমাকে বোরকা খুলে রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে।

শহিদের পরিবার জানায়, বিকাল সাড়ে তিনটার সময় তিনি অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন, তখন তার পেটে গুলি লাগে।

সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন