আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

২৭ ফুট ভেসে যেতে পারে করোন, বাতাসে বাঁচে কয়েক ঘণ্টা

মার্কিন গবেষকের দাবি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৩ ১৫:৪৬:১৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: করোনাভাইরাস 'এয়ারবোর্ন' নয়, আগেই বলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাতাসে ভেসে বেশিদূর যেতে পারে না এই ভাইরাস এমনটাই দাবি ছিল হু’র। তবে সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক লিদিয়া বোরুইবা দাবি করেছেন, রেসপিরেটারি ড্রপলেটকে সম্বল করে বাতাসে অন্তত ২৭ ফুট ভেসে যেতে পারে করোনা। কয়েক ঘণ্টা বাতাসে ভেসেও থাকতে পারে।

লিদিয়া বলেছেন, মানুষের হাঁচি-কাশি বা থুতু থেকেই ছড়াচ্ছে ভাইরাস। তবে যে রেসপিরেটারি ড্রপলেটে চেপে ভাইরাস এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছুটে যাচ্ছে, সে ড্রপলেট কিন্তু অনেকটাই দূর পর্যন্ত যেতে পারে। তিন ফুট বা ছয় ফুট, নয় এই ভাইরাস ড্রপলেট একেবারে ২৭ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে।

'আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন'র জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। লিদিয়ার দাবি, ভাইরাস ড্রপলেট যেমন কোনা উপরিভাগে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে, তেমনি বাতাসেও কয়েক ঘণ্টা ভেসে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্ব ছয় ফুট নয়, অনেক বেশি রাখা দরকার। কারণ দেখা গেছে, এই ভাইরাল স্ট্রেনের বাহিত হওয়ার ক্ষমতা অনেক বেশি।

মারণ ভাইরাস বিটা-করোনার এই স্ট্রেন সার্স-কভ-২ কিভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও নানা মত রয়েছে। দ্বিধা তৈরি হয়েছে যে বিষয়টা নিয়ে তা হলো, ভাইরাসের সংক্রমণ বাতাসে (অ্যারোসল) ছড়ায় কি-না।

করোনাভাইরাস এয়ার ড্রপলেটে ছড়াতে পারে এই বিষয়ে গবেষণার রিপোর্ট সামনে এনেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন, লস এঞ্জেলসের বিজ্ঞানীরা । নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন বিজ্ঞান পত্রিকায় ওই গবেষণার রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের রিপোর্টকে সামনে রেখেই হু বলেছিল, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি-থুতুকে কেন্দ্র করে অর্থাত্‍ ‘রেসপিরেটারি ড্রপলেট’র মাধ্যমে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। কিন্তু এই রেসপিরেটারি ড্রপলেট এতটাই ভারী যে এটি বাতাসে বেশিক্ষণ ভেসে থাকতে পারে না। মাটিতে বা কোনো সারফেসে জমে থাকে। কিন্তু যদি আক্রান্ত ব্যক্তির খুব কাছাকাছি কেউ থাকে (এক মিটারের কম দূরত্বে) তাহলে সেই ড্রপলেট সুস্থ ব্যক্তির শরীরের সংস্পর্শে এসে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায়। আর এইভাবেই মানুষের থেকে মানুষে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।

গবেষক লিদিয়া বলছেন, যে কোনো আকারের রেসপিরেটারি ড্রপলেটই হোক না কেন, ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে সেই ড্রপলেট বহুদূর পর্যন্ত ছুটে যেতে পারে। সার্স-কভ-২ এমনভাবেই নিজেকে বদলেছে, যে এটি হাওয়াতে কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। মানুষের শরীরে ঢুকতে পারলে সেখানে তার ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৭ থেকে ১৪ দিন অথবা ২৫ দিন। কাজেই সচেতনতা অনেক বেশি দরকার।

সৌজন্যে : দ্য ওয়াল, কালের কণ্ঠ

সিলেটভিউ২৪ ডটকম/৩ এপ্রিল ২০২০/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন