আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

করোনার ‘কার্যকরী’ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৩ ১৮:২২:৩৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করছেন।

নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস।

তাদের দাবি, ইঁদুরের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চিকিৎসাবিষয়ক বিখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে পিটসবার্গের স্কুল অব মেডিসিনে এই গবেষণা প্রকাশ হয়।

ভ্যাকসিনটি রোগের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে দ্রুত কার্যকর হতে পারে বলে গবেষকেরা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন।

নতুন এই ভ্যাকসিনের তারা নাম দিয়েছেন ‘পিটকোভ্যাক’। যার পূর্ণরূপ পিটসবার্গ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।

পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আন্দ্রে গামবট্টো বলেন, নতুন এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম আমাদের এই ভ্যাকসিন।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করতে অর্থের প্রয়োজন। কারণ করোনা মোকাবেলা করা না গেলে পরের অবস্থা ঠিক কী হবে, আমরা আসলে জানি না।’

এই গবেষক আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সবার আগে এটি তৈরি করাটা জরুরি। আমাদের সেই ক্ষমতা এবং দক্ষতা রয়েছে।’

ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন গবেষকেরা। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মানুষের শরীরে তারা ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাকারে এমন তথ্যই দেখিয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারীটি শুরু হওয়ার পর কোনো দেশে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পরদিন একই সময় পর্যন্ত এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ ইতালিতে একদিনে ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্তের সংখ্যায় দেশটি আগে থেকেই সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ সংখ্যা দুই লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

উপসর্গবিহীন আক্রান্তদের চিহ্নিত করা কঠিন হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা ৫ থেকে ১০ গুণ বেশিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রেন্ডন মারফি।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবল থেকে বাঁচতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ নানান বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি এখন ঘরবন্দির নির্দেশনার আওতায়।

দেশটিতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কেবল নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় পরের অঙ্গরাজ্যগুলো হচ্ছে নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান ও লুইজিয়ানা।

সৌজনে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ এপ্রিল ২০২০/মিআচেৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন