Sylhet View 24 PRINT

নারী নির্যাতন বাড়াচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৪ ১৪:০৫:৪৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা আতঙ্ক। করোনা মোকাবেলায় এরই মধ্যে অনেক দেশ লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু কারফিউ এর নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ‍গৃহনির্যাতন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে৷

 মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত নারীদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়৷ বিশেষ করে ইয়েমেন, মরক্কো ও মিশরের একচতুর্থাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন৷

গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার নারী বিষয়ক মন্ত্রী আসমা শিরি বলেন, তার দেশে হোম কোয়ারান্টিনের সময় গৃহনির্যাতন আশঙ্কাজনক ‍হারে বেড়ে গেছে৷ করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ‍মাসের মাঝামাঝিতে কারফিউ জারি করে তিউনিসিয়া সরকার৷ তারপর থেকে গৃহনির্যাতন পাঁচ গুণ বেড়েছে৷ অথচ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অর্ধেকের বেশি দেশে গৃহনির্যাতন রোধে আইন আছে, যদিও বাস্তবে  এর কর্যকারিতা অবশ্য দেখা যায় না বললেই চলে৷

লকডাউনের সময় স্বামীরা বাসায় থেকে স্ত্রীদের মারধর করছে। সেই সাথে ছোট খাট বিষয় নিয়ে সন্তানদের উপরও অত্যাচার চালাচ্ছে। আরব দেশগুলোর বেশিরভাগ নারীকে এভাবে গৃহনির্যাতনের শিকার হতে হয়৷ নিজ দেশ থেকে তুরস্কে পালিয়ে আসা আয়শার( ছদ্ম নাম) জীবনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি৷ তার স্বামী প্রতিদিন তাকে এবং তার সন্তানদের মারধর করেন। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে আয়শা বলেন, আমি সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় একবার তিনি আমাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে তুরস্কে কারফিউ জারি হলে তিনি তো কাজে যেতে পারবেন না৷ তখন হয়তো তিনি আমাকে আরো মারবেন৷

হোম কোয়ারেন্টিনের কারণে নারীদের উপর কাজের চাপ বেড়েছে। লেবাননের সমাজকর্মী রানিয়া সুলেইমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবারের সব লোক সারাদিন বাড়িতে থাকছেন৷ তাদের প্রয়োজন মেটাতে নারীরা বাড়তি চাপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ স্বামীরা ঘরে থাকায় স্ত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে, না পারলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে৷

সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৪ এপ্রিল ২০২০/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.