আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

বিশ্বেও ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-২২ ০৩:০৮:৫৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বাংলাদেশের মতো বিশ্বেও ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত এক লাখ ছয় হাজার মানুষের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ২৪ এপ্রিল।

সব মিলিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৫১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের মধ্যে ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’ (কভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখ ৩১ হাজার। এদিকে ইউরোপের অর্থনীতি সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি এরই মধ্যে পার করে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। প্রায় তিন মাস পর লকডাউন শিথিল করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার বিশ্বে অন্তত এক লাখ ছয় হাজার মানুষের মধ্যে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন সব কিছু ‘স্বাভাবিক’ করতে জি-সেভেন সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন এই তথ্য জানাল ডাব্লিউএইচও। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় গত ২৪ এপ্রিল, এক লাখ এক হাজার ৮৮৪ জন। ডাব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেব্রিয়েসিস জানান, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

কয়েক দিন ধরে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ব্রাজিল। গত মঙ্গলবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি। তিন লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।

নজিরবিহীন মন্দার পথে ইউরোপ

অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইএইচএস মার্কিট’ জানিয়েছে, ইউরোপের অর্থনীতি ‘সর্বনিম্ন সূচক’ পার হয়ে এসেছে।  লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনা মহামারির প্রভাবে ইউরোপের  অর্থনীতির সূচক যে গতিতে নিম্নমুখী ছিল, সেই গতি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। কারণ এরই মধ্যে অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করেছে। ‘আইএইচএস মার্কিট’ বলছে, গত এপ্রিলে ইউরোপে অর্থনীতির সূচক ছিল ১৩.৫ পয়েন্ট। কিন্তু চলতি মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৫ পয়েন্টে। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে এই সূচক এখনো ৫০ পয়েন্ট কম। ‘আইএইচএস মার্কিট’-এর প্রধান অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস উইলিয়ামসন বলেন, ‘মে মাসের বাকি সময়ও খারাপ যাবে। তবে স্বস্তির খবর হলো, সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি সম্ভবত এপ্রিল মাসে পার হয়ে গেছে।’

দেশে দেশে করোনাচিত্র

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি রাশিয়া ও ব্রাজিল এখনো করোনাভাইরাসের ‘হটস্পট’ হিসেবে রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ১৭ হাজারের বেশি। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনে গতকাল আক্রান্ত হয়েছে দুজন। ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গতকালের ৬৬ জনসহ ইরানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৪৯। পাশের দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের।

সার্বিক পরিস্থিতি

বৈশ্বিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০ টায় বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৩। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৪৭ জনের। সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯০ জন। চিকিৎসাধীন ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭০৬ জন। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ রয়েছে ২৭ লাখ ৮ হাজার  ১৫৭ জনের (৯৮ শতাংশ)। বাকি ৪৫ হাজার ৫৪৯ জনের (২ শতাংশ) অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া বিশ্বের প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৫৭ জন। বৈশ্বিক মৃত্যুর হার ৬.৪৫ শতাংশ।

সৌজন্যে : এএফপি, কালের কণ্ঠ

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ মে ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ




শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন