আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

১৫ আগস্টই ভারত বাজারে ছাড়ছে করোনার ভ্যাকসিন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৩ ১৯:৫০:০২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের হার। ভারতের জুলাই-আগস্ট মাস করোনা সংক্রমণের নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতি ভারতীয়দের জন্য খুশির খবর। আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন লঞ্চ করা হতে পারে দেশটিতে তৈরি প্রথম করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন।

ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আসছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। এর নাম দেওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিন। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য এক ডজন ইনস্টিটিউটকে মনোনীত করা হয়েছে বলে সরকারের শীর্ষ মেডিক্যাল রিসার্চ কমিটি জানিয়েছে। এই ইনস্টিটিউটগুলিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে। এই বিষয়টিকে প্রায়োরিটি প্রজেক্ট হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ইনস্টিটিউটগুলিকে লেখা চিঠিতেইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বলেছে যে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভায়োলজিতে SARS-CoV-2 ভাইরাস নিয়ে কাজ করে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ  এবং BBI একযোগে এই ভ্যাকসিনের প্রি-ক্লিনিকাল এবং ক্লিনিকাল ডেভেলপমেন্টের ওপর কাজ করছে। সাধারণ মানুষের জন্য ১৫ আগস্ট এই ভ্যাকসিন লঞ্চ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ।

স্বাধীনতা দিবসেই করোনাভাইরাসের মতো মারণ অসুখের কবল থেকে ভারতবাসীকে মুক্তি দিতে চাইছে কেন্দ্র। চলতি সপ্তাহেই ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ওপরেই এই ভ্যাকসিনের সাফল্য নির্ভর করবে। কোনও ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে সহযোগিতা না করলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ

ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য নির্বাচিত ইনস্টিটিউটগুলিকে নির্দিষ্ট টাইমলাইনের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটি করতে বলা হয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ -এর লেখা চিঠিতে। ভারতের যে সব জায়গার ইনস্টিটিউগুলিকে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সেগুলি অবস্থিত বিশাখাপত্তনম, রোহতক, নিউদিল্লি, পাটনা, বেলগাউম (কর্নাটক), নাগপুর, গোরক্ষপুর, কট্টনকুলাথুর (তামিলনাড়ু), হায়দরাবাদ, আর্য্য নগর, কানপুর এবং গোয়া।

গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত করোনায় ১০ মিলিয়ন মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। ভারতের করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০০,০০০। এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য বাজারে আসেনি। তবে অনেক দেশই করোনার ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই মানব শরীরে প্রয়োগ করেছে।


সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ জুলাই ২০২০/ডেস্ক / জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন