আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এই কুখ্যাত ডনের পিছু নিয়েই গতরাতে প্রাণ হারান ৮ ভারতীয় পুলিশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৩ ২০:৪৭:৫২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারতের উত্তর প্রদেশের এক কুখ্যাত ডনকে ধরতে গিয়ে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন ডেপুটি সুপারসহ আট পুলিশ সদস্য। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো চারজন। আজ শুক্রবার ভোর-রাতে এই ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের চৌবেপুর থানার ডিক্রু গ্রামে।

কুখ্যাত ওই ডনের নাম বিকাশ দুবে। 'শিবলি ডন' নামে পরিচিত বিকাশ ও তার অনুসারীদের গুলিতে শুক্রবার ভোর রাতে আট পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। উভয়পক্ষের গুলির লড়াইয়ে মারা যায় দুই সন্ত্রাসীও কিন্তু, তারপরও ধরা যায়নি ওই কুখ্যাত ডনকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুখ্যাত এই ডনের অপরাধে হাতে খড়ি হয়েছিল ২০০০ সালে। কানপুরের তারাচাঁদ ইন্টার কলেজের অধ্যক্ষ ও সহকারী ম্যানেজার সিদ্ধেশ্বর পান্ডের খুনের ঘটনায় প্রথম নাম জড়ায় বিকাশের। তারপর এক বছরের মধ্যেই স্থানীয় মানুষদের কাছে ত্রাসে পরিণত হয় সে। ২০০১ সালে শিবলি পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই তৎকালীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সন্তোষ শুক্লাকে খুন করে বিকাশ ও তার সঙ্গীরা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই পুলিশকর্মীরও। আর এই ঘটনাই কানপুর তথা উত্তরপ্রদেশের অপরাধ জগতে বিকাশের উত্থানের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। কুখ্যাত গ্যাংস্টার হিসাবে নাম ছড়িয়ে পড়ে বিকাশের।

তারপর থেকে আস্তে আস্তে গত ২০ বছরে অন্তত ৬০টি খুন, অসংখ্য ডাকাতি ও অপহরণের মামলা দায়ের হয় তার নামে। একের পর এক অপরাধের সিঁড়ি বেয়ে পুরো কানপুরজুড়ে তাণ্ডব চালাতে থাকে বিকাশ ও তার সঙ্গীরা। যে দেহাতি এলাকায় বিকাশের বাড়ি, সেই গ্রামের যুবকরাও আস্তে আস্তে বিকাশের দলে নাম লেখাতে থাকে। ফলে লোকবল বাড়াতে থাকে তার। ক্ষমতা আরো বাড়াতে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিতেও যোগ দেয় বিকাশ। এমনকী নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হয় সে।

তবে মায়াবতী ক্ষমতা থেকে সরতেই তার রাজনৈতিক প্রতিপত্তি কমতে থাকে। একসময়ে বিকাশের খোঁজ দিতে পারলে ২৫ হাজার রুপি পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে প্রশাসন। পাশাপাশি বেশ কয়েকবার তাকে গ্রেপ্তারও করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ। কিন্তু, প্রতিবারই নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অল্প কয়েকদিন জেল খাটার পর বেরিয়ে আসে কুখ্যাত ওই ডন।

সম্প্রতি কানপুরের বিকরু গ্রামের পুলিশ স্টেশনে রাহুল তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি বিকাশের নামে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিকাশের গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু, প্রতিমুহূর্তে বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। এর মাঝেই একটি বাড়ির উপর থেকে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে বিকাশ ও তার সঙ্গীরা। এর ফলে একজন ডিএসপি-সহ ৮ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়।



সৌজন্যে : সংবাদ প্রতিদিন / কালের কণ্ঠ
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ জুলাই ২০২০/ডেস্ক / জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন