আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

করোনা : ডেক্সামেথোসোন ১০ টাকা, রেমডেসিভির ১০ হাজার টাকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১০ ১৫:৪০:২৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: যে কোনও রোগের প্রকোপ মোকাবিলায় বিশ্বাসযোগ্য তথ্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তা কোনও ভাবেই এই মহামারীর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয় এমনটাই বলছে ভারতের নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিট্যুট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের কার্ডিওলজির প্রফেসর গণেশ কার্তিকেয়ন। এর জের ধরেই সামনে আসে করোনার ওষুধ ডেক্সামেথোসোনের প্রস্তাবিত ডোজের দাম রোগী পিছু ১০ টাকারও কম। অন্যদিকে রেমডেসিভির প্রতি কোর্সের দাম ১০ হাজার টাকারও বেশি। আর এই কারণেই ডেক্সামেথোসনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া ‍উচিত বলে মনে করছেন তিনি।

তবে বাজারে যে পরিমাণ ও যত ধরনের তথ্য রয়েছে তা থেকে কোনটা সত্য আর কোনটা অতিরঞ্জিত তা বিচার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কেবলমাত্র ধারণার ভিত্তিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের অনেক বিক্রি এর অন্যতম উদাহরণ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষজন এখন নিশ্চিত হয়ে পড়েছেন কোভিড-১৯-এর দুটি চিকিৎসা রয়েছে, প্লাজমা থেরাপি ও রেমডেসিভির। কার্তিকেয়ন বলছেন ব্রিটেনে ডেক্সামেথাসোনের উপর একটি গবেষণাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

প্রথমত এই স্টাডিতে কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে যে বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেই মৃত্যু ও ভেন্টিলেশনে এই ওষুধের সাফল্য, এবং বৃহত্তম উপকারিতা বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত ডেক্সামেথাসোন সস্তা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড জেনেরিক নামে ভারতে পাওয়া যায়। যথাযথ তথ্যের অভাবে একটি পণ্যের দামই ক্রেতার কাছে তার মানের নির্ণায়ক।

শেষে কার্তিকেয়ন লিখছেন, রেমডিসিভির এফেক্ট থেকে আমাদের সংবাদমাধ্যম, সাধারণ মানুষ ও নীতিপ্রণেতাদের উদ্ধার করার দায়িত্ব তাই চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য সংস্থার।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ জুলাই ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন