আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং
সিলেটভিউ ডেস্ক :: কাজিনের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ২১ বছরের তরুণী। আর ‘পরিবারের সম্মান বাঁচাতে’ দুজনকেই হত্যা করল দাদা। তাদের দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল। এক ভাই এই ঘটনা দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করে অভিযুক্ত।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফের অনারকিলিং ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটির উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল জেলার ধানারি থানা এলাকার গাধা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত বিনীত ও তার সহকারী তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। বিনীত তার বোন সুখিয়া ও তাদে কাজিন বান্টিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। মৃতরা হাইস্কুলে ড্রপআউট ছিলেন। অপরদিকে এই ঘটনা দেখে ফেলায় আর এক ভাই কুলদীপকেও বিনীত খুন করে বলে অভিযোগ। কুলদীপ এমএসসি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জুন বান্টির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে তার ঠিক আগে ২৫ জুন কাজিন সুখিয়াকে নিয়ে পালান তিনি।
বৃহস্পতিবার সম্ভালের পুলিশ সুপার যমুনা প্রসাদ জানিয়েছেন, ১ জুলাই এক তরুণী ও তার কাজিনের দেহ গাছে ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। দেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছিল এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এরপর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ জুলাই মৃত তরুণীর ভাইয়ের দেহ একই রকমভাবে গাছে ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই সন্দেহ তীব্র হওয়ায় খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনায় ধানেরা থানার পুলিশ বিনীত, কিশোরী, শোরাজ ও জগপাল যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযুক্ত বিনীত পুলিশকে জানায়, পরিবারের সম্মান বাঁচাতে তার বোন ও বোনের বয়ফ্রেন্ড তথা তাদের কাজিনকে খুন করেছে। ভাই কুলদীপ তার কাজে বাধা দেওয়ায় ও খুনের সাক্ষী হয়ে যাওয়ায় তাকেও খুন করে বলে স্বীকার করে নিয়েছে বিনীত।
পুলিশ পরে ঘটনাস্থল থেকে দড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে। অভিযুক্তের থেকে আড়াই লাখ টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সৌজন্যে : এই সময়
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ জুলাই ২০২০/ডেস্ক/ জিএসি