আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বসনিয়ার সেব্রেনিৎসায় মুসলিম গণহত্যার ২৫তম বার্ষিকী পালিত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১১ ১৮:৩৪:২৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বসনিয়া হার্জেগোভিনার সেব্রেনিৎসায় মুসলমানদের ওপর বর্বর সার্ব বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার ২৫তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।


সেব্রেনিৎসার পোটোচারি কবরস্থান ও সেব্রেনিৎসা মেমোরিয়াল সেন্টারে এ উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত শোকানুষ্ঠানে দেশটির রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, জাতিসংঘ প্রতিনিধিসহ নিহতদের পরিবারবর্গসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। খবর আলজাজিরার।


১৯৯৫ সালের ১১ জুলাই সার্বীয় বাহিনী বসনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সেব্রেনিৎসা এলাকা দখল করে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও এবং জাতিসংঘের ডাচ শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতিতেই সেব্রেনিৎসায় চালানো হয় নারকীয় গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান।

বসনিয়ার সার্ব জেনারেল রাতকো ম্লাডিক গণহত্যার সময় এক টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, শহরটি আমরা সার্বিয়ার জনগণকে উপহার হিসেবে দিয়েছি।

দিনটি উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এক বলেছেন, সেব্রেনিৎসা গণহত্যা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে নৃশংসতম অপরাধ।


সেব্রেনিৎসা দখলের প্রথমদিন থেকেই সার্বীয় বাহিনী স্থানীয় বসনীয় জনগোষ্ঠীর সব পুরুষকে আলাদা করে নেয়। পরে তাদেরকে গণহারে হত্যা করে।


১১ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সেব্রেনিৎসার কোথাও না কোথাও এই গণহারে হত্যার ঘটনা ঘটেতে থাকে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদেরকে মৃত্যুর আগে নিজেদের কবর খনন করতে সার্বীয় বাহিনী বাধ্য করে।


সার্ব বাহিনী সেখানে জাতিসংঘের ডাচ শান্তিরক্ষীদের সামনেই ৮ হাজার ৩৭২ জন বসনিয় মুসলমানকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। এই গণহত্যা চলার সময় জাতিসংঘ নীরবতা পালন করলেও পরে একে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ বলে স্বীকৃতি দেয়।


বসনিয়া ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে সাবেক ইউগোস্লাভিয়া থেকে গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। আর ওই স্বাধীনতা বানচাল করতেই সার্বরা বসনিয়ার মুসলমানদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।



১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ায় সার্ব বাহিনীর হামলায় দুই লাখের বেশি বসনিয় মুসলমান নিহত ও প্রায় বিশ লাখ শরণার্থী হয়।


তবে সেব্রেনিৎসার গণহত্যাকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে নৃশংস ও ভয়াবহ গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়।



সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ জুলাই ২০২০/ডেস্ক/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন