আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

৩৫ দিন সমুদ্রে থেকেও করোনা পজিটিভ ৫৭ নাবিক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১৪ ২০:৪৩:৪০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আগে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাদের করোনা নেগেটিভ আসে। এরপর ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা করেন ৬১ জন নাবিক। কিন্তু টানা ৩৫ দিন সমুদ্রে থাকার পর তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়। বন্দরে ফিরিয়ে এনে আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এবার তাদের ৫৭ জনের করোনা নেগেটিভ প্রতিবেদন আসে।

৩৫ দিন সমুদ্রে থাকার পরও আর্জেন্টিনার এই ৫৭ নাবিক কীভাবে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে ‘রহস্যজনক’ বলে মনে করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় অবাক তারা।

সোমবার (১৩ জুলাই) আর্জেন্টিনার দ্বীপরাজ্য তিয়েরা দেল ফুয়েগোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় ‘এচিজেন মারু’ নামের মাছ ধরার ওই ট্রলারটি ৬১ জনকে বন্দরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

প্রদেশের জরুরি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি জানায়, ৬১ জনের মধ্যে দুজনের করোনা নেগেটিভ এসেছে। দুজন প্রতিবেদনের অপেক্ষায়, আর বাকি ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।


এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আগে সবাইকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনা নেগেটিভ আসে।

তিয়েরা দেল ফুয়েগোর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পরিচালক আলজেন্দ্রা আলফারো বলেন, প্রদেশটির রাজধানী উসুয়াইয়া বন্দর ছেড়ে যাওয়ার ৩৫ দিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে বাইরের কারো যোগাযোগ হয়নি। এমনকি তারা যেসব খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন এর বাইরে, কোনো ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেননি। এরপরও এই নাবিকরা কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। চিকিৎসকদের একটি দল তাদের উপসর্গ পরীক্ষা করছে।

উসুয়াইয়া আঞ্চলিক হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান লায়ানড্রো বালাতোরের বলেন, এই ঘটনাটি সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা মুশকিল। তাদের শরীরে করোনার লক্ষণগুলো কীভাবে হাজির হয়েছে, আমরা এখনও তার ব্যাখ্যা করতে পারিনি।


সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জুলাই ২০২০/ডেস্ক/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন