Sylhet View 24 PRINT

বৃহত্তর ট্রায়াল শুরু, ৬০ হাজার জনকে টিকা দিচ্ছে জনসন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৪ ১২:৪১:৫৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মোডার্না বায়োটেক, ফাইজার-বায়োএনটেকের পরে করোনা টিকার বৃহত্তর ট্রায়াল শুরু করল জনসন অ্যান্ড জনসন। প্রায় ৬০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টোফেলস।

টিকার একটি শটেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানী পল। তার কথায়, জনসনের বানানো টিকার একটিই ডোজ দেওয়া হবে স্বেচ্ছাসেবকদের। আর সেই ডোজের মাত্রা এমনভাবেই ঠিক করা হয়েছে যাতে একটি শটেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয় শরীরে। খবর দ্য ওয়ালের।

তিনি জানিয়েছেন, এই ডোজে রক্তের টি-লিম্ফোসেইট কোষও সক্রিয় হবে। এই টি-কোষ ভাইরাল স্ট্রেন সমেত সংক্রামিত কোষকে নষ্ট করে দিতে পারে। টি-কোষ অ্যাকটিভ হলে শরীরে জোরালো রোগ প্রতিরোধ তৈরি হয়।

বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করছে জনসন অ্যান্ড জনসনের রিসার্চ উইং জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। সংস্থার চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালেক্স গোরস্কি জানিয়েছেন, ল্যাবরেটরিতে পশুদের শরীরে এই টিকার সেফটি ট্রায়ালে সুফল পাওয়া গেছে। ড্রাগ রেগুলেটরি কমিটির অনুমোদনে বৃহত্তর ট্রায়াল শুরু হয়েছে আমেরিকায়। মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ১০০ কোটি টিকার ডোজ তৈরির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে জানুয়ারি থেকে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের অধ্যাপক ও গবেষকদের সহযোগিতায় টিকা ক্যানডিডেট বানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। গবেষকরা বলেছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তাকে ল্যাবরেটরিতে বিশেষ পদ্ধতিতে পিউরিফাই করে এই টিকা তৈরি হচ্ছে। মানুষের শরীরে ঢুকলে সেই নিষ্ক্রিয় ভাইরাল প্রোটিন ‘মেমরি বি সেল’ তৈরি করবে। এই মেমরি বি সেলের কাজ হল বাইরে থেকে শরীরে ঢোকা ভাইরাল প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলোকে চিহ্নিত করে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করা। সেই সঙ্গেই সক্রিয় হবে টি-কোষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এইভাবেই ভাইরাসের মোকাবিলায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কে আগে করোনার টিকা আনবে মোডার্না বায়োটেক বা ফাইজার, সেই নিয়ে জোরদার প্রতিযোগিতা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির দুই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিই তাদের টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে। দুই সংস্থার টিকার প্রভাবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন তৃতীয় স্তরের সবচেয়ে বড় ট্রায়াল করছে মোডার্না বায়োটেকনোলজি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজারের বেশি জনকে টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। মোডার্না জানিয়েছে, তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের রিপোর্ট ক্রমশই ভালর দিকে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় খবর হল ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের শরীরেও টিকার ডোজে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে, কমবয়সীদের থেকেও কয়েকজন প্রবীণ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির সংখ্যা অনেক বেশি।

অন্যদিকে ফাইজার জানিয়েছে, জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের সহযোগিতায় টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারীতা নিশ্চিত করা গেছে। প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে টিকার ইঞ্জেকশন দিয়ে কোনও অ্যাডভার্স সাইড এফেক্টস দেখা যায়নি। আরও বেশি জনের উপরে এখন টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রেগুলেটরি কমিটির কাছে। এরপর এফডিএ সায় দিলেই টিকা চলে আসবে দ্রুত।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০/ঢাকাটাইমস/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.