আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাংলাদেশি রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি কলকাতার হাসপাতালগুলো!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১১-৩০ ১৪:৪৩:১৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালগুলির অন্যতম প্রধান আয়ের উৎসই বাংলাদেশ থেকে আসা রোগী। কিন্তু করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকেই গোটা ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত ও বিমান পরিষেবা। স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালগুলিতে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে এগোতেই ফের বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে-আর তাতেই দীর্ঘ সাত মাস পর আশার আলো দেখতে পাচ্ছে কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালগুলি।

বিশেষ করে গত কয়েক মাসের তুলনায় চলতি নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন একাধিক বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরের পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দীপাবলির পর থেকে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং এটা আগামী দিনে আরও বাড়বে। বর্তমানে ১১ জনের মতো বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং গত পনেরো দিন ধরে বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১০-১১ জন বাংলাদেশি রোগী আসছেন। সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুন হবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি আরও জানান ‘কোভিড-১৯ এর আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫ জনের মতো রোগী বহির্বিভাগে দেখাতে আসেন। এছাড়াও গড়ে ১৫ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকেন।’

মুকুন্দপুরের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতাল ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস’ (আরটিআইআইসিএস) এও বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, করোনার আগে গত মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৬ হাজার রোগী আসতেন এখানে।

আরটিআইআইসিএস’এর আঞ্চলিক পরিচালক আর. ভেঙ্কটেশ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘চলতি নভেম্বরেই বহির্বিভাগে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা আশ্চর্যজনক ভাবে বেড়েছে। আমরা আশা করছি যে এই মাসেই বহির্বিভাগে ৬০০ বাংলাদেশি রোগী আসবেন। ডিসেম্বরে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু করোনার আগে যত সংখ্যায় বাংলাদেশি রোগীরা এখানে আসতেন তা হয়তো হবে না।’

ভেঙ্কটেশের অভিমত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি শিথিল না হওয়া বা নন-কোভিড শয্যার সংখ্যা না বাড়ানো পর্যন্ত বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা বাড়বে না। এই মাসে এখনও পর্যন্ত ২৫ জন বাংলাদেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এএমআরআই’এর মতো আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালেও নভেম্বর মাসে প্রতিদিন গড়ে ইনডোরে ১৫ জন ও বহির্বিভাগে ৩৫ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা করাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশা ডিসেম্বরে সংখ্যাটা অন্তত ১০ শতাংশ বাড়বে।

হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত তাদের তিনটি শাখা মিলিয়ে ৪০ জনের বেশি বাংলাদেশি রোগী (ইনডোর) ভর্তি হতেন।’

অন্যদিকে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের চেয়ারপার্সন অলোক রায় জানান তাদের হাসাতালে দৈনিক ১২ জনেরও কম বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা করাতে আসছেন তবে আগামী দিনে সংখ্যাটা বাড়বে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।  

সৌজন্যে : বিডিপ্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩০ নভেম্বর ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন