সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২৫ ২০:৫০:১৪
সিলেটভিউ ডেস্ক :: ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ মাস ধরে কারাগারে থেকেছেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রতিবেশী মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন।
সে কারণে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। আদালতে পাল্টা জামিনের আবেদন করেছিলেন অভিযুক্ত।
কিন্তু তদন্ত চলা অবস্থায় সেই আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেল, ওই কিশোরীর সন্তানের পিতা অভিযুক্ত ব্যক্তি নন। সে কারণে ১৭ মাস জেলে থাকার পর তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
বিচারক বলেছেন, দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে আরো বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জামিন দেওয়া হলো।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই কিশোরীর হঠাৎ পেটে ব্যথা শুরু হয়। সে তখন বিশেষ স্কুলে ছিল। বাড়িতে এনে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষার পর জানান, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা।
পরিবারের লোকজনকে ওই কিশোরী জানায়, প্রতিবেশী এক ব্যক্তি দুইবার তাকে ধর্ষণ করেছে। সে অনুসারে পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। তারপর অভিযুক্তকে আটকও করে পুলিশ। একপর্যায়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ওই কিশোরীর ভ্রূণের ডিএনএ অভিযুক্তের ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলছে না। তার পরেই জামিন দিলেন বিচারক।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ইন্ডিয়া টুডে /জিএসি- ১৭